শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচে কুইন্সল্যান্ড বনাম ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার টেস্ট ম্যাচ চলছে। এ ম্যাচে ঘটেছে এক অদ্ভুতুড়ে ঘটনা। উইকেটের ঠিক পেছনে এক জন ফিল্ডারকে ফিল্ডিং করতে দেখা গিয়েছে। এতেই হইচই ফেলে দিয়েছে ক্রিকেট পাড়ায়।
এ ম্যাচে ওয়েস্টার্নের ৪ ব্যাটার রান না পেলেও অধিনায়ক স্যাম হোয়াইটম্যানের সঙ্গে ২০৩ রানের জুটি বাঁধেন জশ ইংলিশ। কিছুতেই এই জুটি ভাঙ্গা যাচ্ছিল না। এ জুটি ভাঙতে নিজেই বল হাতে তুলে নেন কুইন্সল্যান্ডের অধিনায়ক মার্নাস লাবুশেন। বল করার আগে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার ফিল্ডারকে ইশারায় ডাকেন এবং অ্যাম্পিয়ারের পেছনে ফিল্ডিং করতে বলেন। এমন জায়াগায় ফিল্ডারকে দাঁড় করিয়েছিলেন যাতে ব্যাটারের চোখের সামনে তিনি থাকেন।
আসলে ব্যাটারের মনঃসংযোগ ভাঙতে পরিকল্পনা করেন অধিনায়ক মার্নাশ লাবুশেন। ফিল্ডার চোখের সামনে থাকলে ব্যাটারের মনযোগ নষ্ট হয়ে ভুল শট খেলতে পারেন। এই কারণে এই অভিনব কৌশল অবলম্বন করেন এই অধিনায়ক। তবে তার এ কৌশলে কোনো লাভ হয়নি।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে লজ্জার নতুন রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ
অধিনায়ক কি চাইলেই যে কোন পজিশনেই ফিল্ডার রাখতে পারেন? ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা আইসিসির এই বিষয়ে কী বলছে? কয়েকটি ক্ষেত্রে ফিল্ডার রাখার বিধিনিষেধ রয়েছে। যেমন, বল করার সময় কোনও ফিল্ডারের শরীরের কোনও অংশ যেন পিচের মধ্যে না থাকে। টেস্টে সাধারণত সিলি পয়েন্ট সিলি মিড অফ, সিলি মিড অনের মতো জায়গায় ফিল্ডার থাকতে পারেন। তাঁরা ব্যাটারের অনেক কাছে দাঁড়ান। কিন্তু কোনও ভাবেই তাঁদের শরীরের কোনও অংশ পিচের মধ্যে থাকতে পাররে না। আবার উইকেটে পেছনে লেগ সাইডে কোনও সময়ই উইকেটরক্ষক বাদে দু’জনের বেশি ফিল্ডার রাখা যায় না।
এই দু’টি নিয়ম ছাড়া ফিল্ডিং সাজানোর তেমন কোনো নিয়ম নাই আইসিসিতে। অধিনায়ক চাইলে মাঠের যে কোনও জায়গায় ফিল্ডার রাখতে পারেন। অনেক সময় উইকেটের পিছনে সাইট স্ক্রিনের সামনে ফিল্ডারকে রাখা যাই। কিন্তু ব্যাটার যদি অভিযোগ করেন যে, ফিল্ডারের জন্য তাঁর বল দেখতে সমস্যা হচ্ছে, তা হলে আম্পায়ারের নির্দেশে সাইট স্ক্রিনের সামনে থেকে ফিল্ডার সরিয়ে নিতে হয়। তাই লাবুশেন যা করেছেন তা ক্রিকেটের নিয়মে একদম সঠিক।
ক্রিফোস্পোর্টস/০৯ অক্টোবর ২৪/এইচআই