দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত মুখোমুখি হয়েছে ১৪ টেস্টে। এই ১৪ টেস্টের মধ্যে ম্যাচের ফল বের হয়েছে ১২ টি তে। ম্যাচ ড্র হয়ছে ২ টি তে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হেরে যাওয়া ১২ টেস্টের ৮ টিতেই ইনিংস ব্যবধানে হারতে হয়েছে টাইগারদের। আজ (বুধবার) মিরপুর টেস্টের তৃতীয় দিনের শুরুতেই বাংলাদেশ মাহমুদুল হাসান জয়, মুশফিকুর রহিম এবং লিটন দাসের উইকেট হারায়। ফলে টাইগারদের সামনে আরও একটি ম্যাচে ইনিংস ব্যবধানে হারার শঙ্কা দেখা দেয়। তখনও বাংলাদেশের সামনে ছিল ৯০ রানের লিড।
কিন্তু বাংলাদেশের ইনিংস ব্যবধানে হারার লজ্জা থেকে বাঁচিয়ে দেয় মিরাজ-জাকের জুটি। বাংলাদেশের হয়ে সপ্তম উইকেট জুটিতে ২৪৫ বল খেলে করেন ১৩৮ রানের রেকর্ড পার্টনারশিপ। রের্কড জুটি গড়ার পাশাপাশি মিরাজ তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ার নিজের ৯ম ফিফটি। সেই সঙ্গে অভিষেক ম্যাচে ফিফটি করেছেন জাকের আলি অনিক ।
যার ফলে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে অভিষেকেই ফিফটির দেখা পেয়েছেন তিনি। এর আগে ৮ম উইকেটে ব্যাট করতে নেমে এই রের্কডটি ছিল শুধুমাত্র মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের দখলে। যদিও ফিফটির পর ক্রিজে বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি জাকের আলি অনিক। আউট হয়েছেন ৫৮ রান করেই
মিরাজ-জাকেরের ১৩৮ রানের এই রেকর্ড পার্টনারশিপটি দেশের হয়ে সপ্তম উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ। এর আগে রেকর্ডটি ছিলো মিরাজ-লিটন জুটিতে। ২০২১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মিরাজ ও লিটন ১২৬ রান করেন।
এছাড়াও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০১২ সালের ১২১ রানের জুটি গড়েন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও নাসির হোসেন।
জাকের আলি ৫৮ রান করে কেশব মহারাজের বলে এলবিডব্লুউ হয়ে সাজঘরে ফিরে যান। যদিও মিরাজ ও জাকেরের ১৩৮ রানর জুটি কলরেন । কিন্তু দ্বিপাক্ষিভাবেও এই জুটি রেকর্ড গড়েছেন। এটা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপেক্ষ যেকোনো পজিশনে সর্বোচ্চ রান করার রেকর্ড বাংলাদেশের ব্যাটারদের।
আরো পড়ুন : মিরাজ-জাকেরের জুটিতে লজ্জার হার এড়াতে পারবে বাংলাদেশ?
ক্রিফোস্পোটর্স/২৩অক্টোবর২৪/এসআর