সম্প্রতি ভারতের মাটিতে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন সাকিব আল হাসান। তবে টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিদায় নিতে চেয়েছিলেন দেশের মাটি থেকেই। তবে নানা নাটকীয়তার পর নিরাপত্তাজনিত কারণে শেষ পর্যন্ত দেশে ফেরেননি এই তারকা অলরাউন্ডার।
সরকারের তরফ থেকে সবুজ সংকেত পেয়েই সাকিবকে মিরপুর টেস্টের দলে রাখা হয়েছিল। এমনকি সাকিবের দেশে ফেরার দিনক্ষণও পাকা ছিল। তবে শেষ মুহূর্তে নিরাপত্তা শঙ্কায় তাকে দেশে না ফেরার পরামর্শ দেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। এ নিয়ে বেশ কয়েকদিন উত্তাল ছিল দেশের ক্রিকেটাঙ্গন। সাকিবকে দেশে ফেরাতে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের সামনে আন্দোলনও করেছে সাকিব ভক্তরা।
এবার সাকিবের দেশে ফিরতে না পারার বিষয়ে মুখ খুলেছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। তার দাবি, সাকিবকে দেশে ফেরাতে তার পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন।
আরও পড়ুন:
» তামিম প্রসঙ্গে যা বললেন বিসিবি সভাপতি
» সাফের ফাইনালে মুখোমুখি বাংলাদেশ-নেপাল, দেখুন সরাসরি
আজ (৩০ অক্টোবর) মিরপুরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে সাকিব প্রসঙ্গে নতুন বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘সাকিবের বিষয়টা ছিল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, সরকার এবং সাকিব আল হাসানের নিজস্ব ব্যাপার। এইখানে আমার একটা সহায়ক ভূমিকা নেওয়ার কথা ছিল। আমি আমার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি যাতে সাকিব দেশের মাটি থেকে অবসরে যেতে পারে।’
তবে ফারুক আহমেদ সাকিবকে খেলোয়াড়ের দৃষ্টিকোণ থেকে দেশে ফেরাতে চাইলেও সরকার এবং তার দৃষ্টিকোণ ভিন্ন হওয়ায় এমনটা হয়েছে বলে মনে করেন তিনি, ‘সাকিব কিন্তু শুধু একজন খেলোয়াড় নয়। সে গত সরকারের এমপি ছিল। তাই এখানে একটা সেন্টিমেন্ট আছে। সব মিলিয়ে সরকার ও আমার দৃষ্টিকোণ এক না।’
সাকিব দেশ থেকে অবসর নিতে পারলে ভালো হতো বলে মনে করেন ফারুক আহমেদ। তবে এটা আইনগত ব্যাপার হওয়ায় বোর্ডের কিছু করা ছিল না বলে জানান তিনি, ‘আমি সাবেক ক্রিকেটার হিসেবে মনে করেছি, একটা ছেলে ১৭ বছর ক্রিকেট খেলেছে। সে বাংলাদেশের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর। সে ঘরের মাঠে অবসর নিতে পারলে ভালো হতো। তবে এর সঙ্গে অন্য জিনিসগুলোও দেখতে হব। সবমিলিয়ে শেষ মুহূর্তে সে আসতে পারেনি। এতে বোর্ডের কিছু করার ছিল না, এটা পুরোপুরি একটা আইনগত ব্যাপার।’
ক্রিফোস্পোর্টস/৩০অক্টোবর২৪/বিটি