Connect with us
ক্রিকেট

আরব আমিরাতকে হোয়াইটওয়াশের স্বাদ দিল বাংলার যুবারা

বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল। ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের ক্রিকেটে জাতীয় পর্যায়ে তেমন সাফল্য না থাকলেও যুব পর্যায়ে রয়েছে বেশকিছু সাফল্য। যার মধ্যে সবচেয়ে বড় অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ। শুধু যুব পর্যায়ে না এটা বাংলাদেশের ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় সাফল্য। তাই বাংলাদেশের যুবাদের একটু বেশিই যত্ন নিয়ে থাকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। তারই ধারাবাহিকতায় যুবাদের খেলার মান উন্নয়নে আয়োজন করে বিভিন্ন সিরিজ ও টুর্নামেন্টের। সেই ধারায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের যুবাদের সাথে সিরিজ আয়োজন করে বিসিবি। সিরিজে একটি চারদিনের ম্যাচ জয়ের পর এবার ৪ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজও নিজেদের করে নিলো বাংলার যুবারা।

সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে আজ (শুক্রবার) মিরপুরে আরব আমিরাতের যুবাদের ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশের যুবারা। আগে ব্যাট করতে নেমে আরব আমিরাতের যুবার তোলে মাত্র ১৩৮ রান। জবাবে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে জাওয়াদ আবরার ও কালাম সিদ্দিকী এলিন জুটির ব্যাটে ভর করে লক্ষ্য তাড়া করে ফেলে বাংলাদেশের যুবারা।

এদিকে ম্যাচের শুরুতেই ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের স্পিনে দিক হারায় আরব আমিরাত। মাত্র ৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন দেবাশীষ সরকার। বাংলাদেশ এই লক্ষ্য তাড়া করে ৯ উইকেট হাতে রেখে। এতে ৪ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজটি ৩-০ ব্যবধানে জিতে নেয় বাংলাদেশ। বৃষ্টির কারণে প্রথম ম্যাচ পণ্ড না হলে হয়তো ব্যবধান আরও বাড়তো।

রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশের ওপেনাররা। প্রথম দুই ওভারে তিন রান করলেও পরে রানের গতি বাড়াতে থাকে জাওয়াদ আবরার। পাওয়ার প্লেতে দুই ওপেনার দারুণ ব্যাটিং করেন। জাওয়াদ তিনটি করে ছয়-চারে করেন ৪৬ বলে ৪১ রান।

জাওয়াদ ৪৬ বলে ৪১ রান করে মাঠ ছাড়ার পর ক্রিজে আসেন শাহরিয়াল আজমীর তূর্য। এলিনকে সঙ্গ দিয়ে ম্যাচ শেষ করে আসেন তিনি। এলিন অপরাজিত থাকেন ৪১ বলে ৪২ রান করে। অন্যদিকে শাহরিয়াল আজমীর তূর্য ৩৭ বলে ৩৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। সিরিজের শেষ ম্যাচটি জিতে নেয় ২৯.২ তম ওভারে।

এদিকে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের বোলিং তোপে এলোমেলো হয়ে যায় আমিরাত যুবাদের ব্যাটিং লাইনআপ। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই হারান ২ উইকেট। আমিরাতের হয়ে সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন উদ্দিশ সুরি। তাছাড়া ২৩ করেন ইয়াইন কিরণ রায় , ইথান কার্ল ডি সুজা ১৮ এবং করন ধীমান করেন ১৬ রান। বাংলাদেশের যুবাদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেন দেবাশীষ সরকার। এছাড়াও আল ফাহাদ, সামিউন বাশির রাতুল, ফারহান শাহরিয়ার, রিজান হোসেন এবং সাদ ইসলাম রাজিনরা নেন একটি করে উইকেট।

আরো পড়ুন : কীভাবে এলো ব্যালন ডি’অর, কত টাকা পান বিজয়ীরা?

ক্রিফোস্পোর্টস/০১নভেম্বর২৪/এসআর

Crifosports announcement
Click to comment

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Focus

More in ক্রিকেট