Connect with us
ক্রিকেট

রোহিত-কোহলি পতনের বয়সে পৌঁছে গেছে: ইয়ান চ্যাপেল

রোহিত শর্মা এবং ভিরাট কোহলি। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি ২২ গজে ব্যাট হাতে বাজে সময় পাড় করছেন রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। একটা সময় যাদের ব্যাট হাসলে প্রতিপক্ষ বোলাররা রীতিমতো দুমড়ি খেয়ে পড়তেন, যাদের রানের উপর নির্ভর করে ভারত জয়ের স্বপ্ন দেখতো। তারাই যেন হারিয়ে যাচ্ছেন সাগরের অতলে।এমন পরিস্থিতিতে রোহিত-কোহলিরা পতনের সময়ে পৌঁছে গেছেন বলে মন্তব্য করছেন অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি ইয়ান চ্যাপেল।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বেঙ্গালুরু ও পুনেতে সিরিজের প্রথম দুই টেস্টেই হেরেছে ভারত। সে সঙ্গে ঘরের মাঠে ১ যুগ পর সিরিজ হারের স্বাদ ও পেয়েছেন তারা। এ দুই টেস্টে ৮ ইনিংসে রোহিত-কোহলির সাফল্য বলতে দুজনের একটি করে ফিফটি। মুম্বাইয়ের ওয়ানখেড়েতে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লক্ষ্যে নেমেছে ভারত। এ টেস্টেও প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ রোহিত-কোহলি। যদিও শুভমান গিল ও ঋষভ পান্তের ফিফটিতে বিপর্যয় সামলেছে স্বাগতিকরা।

এদিকে এই সিরিজের পরই ভারত টেস্ট সংস্করণে বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি খেলতে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমাবে ভারত। যে কারণে নানা আলোচনায় মেতেছেন দুই দেশের সাবেকরা। খেলোয়াড়দের ফর্ম, পারফরমেন্স এবং বিভিন্ন দিক নিয়ে সার্বিক আলোচনা করছেন তারা।

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে রোহিত-কোহলির বর্তমান ফর্ম নিয়ে অজি গ্রেট ইয়ান চ্যাপেল বলেন, ‘ব্যাটিংয়ে কিছু সমস্যা রয়েছে ভারতের। জয়সওয়াল দারুণ একজন তরুণ ক্রিকেটার। গিলও দুর্দান্ত খেলছে। তবে বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মার বয়স হয়ে গেছে। তারা এমন একটা জায়গায় পৌঁছে গেছে মানুষ এটা নিয়ে কথা বলবেই। এ সময় ওদেরও মাথার মধ্যে চলতে থাকে, আমি কী সেই বয়সে পৌঁছে গেছি, যেই বয়সে সব ক্রিকেটারের পতন শুরু হয়? তারা দুজনই সেই বয়সে পৌঁছে গেছে।’

সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক মার্ক টেলরও। তিনি বলেন, ‘রোহিত-কোহলি দুজনই বাজে ফর্মের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। একজন সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে তাদের থেকে যেই রান পাওয়ার প্রত্যাশা করা হয়, সে অনুযায়ী তারা করতে পারছে না। ফলে তরুণ এবং লোয়ার অর্ডার ব্যাটারদের ওপর চাপ তৈরি হচ্ছে। ঋষভ পান্ত, জাদেজা, অশ্বিন সবাই রান পাচ্ছে। তবে সেরা খেলোয়াড়দের থেকেও বড় রান আসা দরকার। গত প্রায় দেড় বছর তারা রান করতে ব্যর্থ হয়েছে।’

এছাড়াও অস্ট্রেলিয়া সফরেও অতিরিক্ত বাউন্সের কারণে ভারতীয় খেলোয়াড়রা চ্যালেঞ্জিংয়ের মুখে পড়তে পারে বলে মনে করে চ্যাপেল। তিনি বলেন, ‘ আমার ধারণা, তারা এরপর অস্ট্রেলিয়ায় খেলতে আসবে, যেখানে পিচ অনেক ভালো। তবে সেখানে অতিরিক্ত বাউন্স থাকবে এবং অধিকাংশই বল মাথা সমান কিংবা তার ওপর দিয়েও যেতে পারে। এমন অতিরিক্ত বাউন্সেই তাদের সমস্যায় ফেলবে।’

উল্লেখ্য, চলতি মাসে ২২ নভেম্বর পর্দা উঠবে বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির। যেখানে অস্ট্রেলিয়া ও ভারত পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে মুখোমুখি হবে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলার ক্ষেত্রে দুই দলের জন্যই এ সিরিজটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইতোমধ্যে ভারত কিউইদের কাছে সিরিজ হেরে সমীকরণ কঠিন করে তুলেছে।

আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সংবর্ধনা পেলেন সাফজয়ী ফুটবলাররা

ক্রিফোস্পোর্টস/২ নভেম্বর ২৪/এইচআই

Crifosports announcement
Click to comment

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Focus

More in ক্রিকেট