আস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে ফেরার লক্ষ্যে আজ (শুক্রবার) অ্যাডিলেডে মাঠে নেমেছিল পাকিস্তান। পাক পেসার তাণ্ডবে মাত্র ১৬৩ রানে গুটিয়ে যান প্যাট কামিন্সরা। সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ২৬.৩ ওভারে ৯ উইকেট হাতেরেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যাই পাকিস্তান।
এ দিন টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে অস্ট্রেলিয়া। দুই ওপেনার ম্যাথিউ শর্ট এবং জ্যাক ফ্রেশার মাকগার্ক দেখে শুনে শুরু করেন। তবে দলীয় ২১ রানে শাহিন আফ্রিদির শিকার হয়ে ১০ বলে ১৩ রান করে ম্যাকগার্ক ফেরলে শুরু হয় পাকিস্তানি পেসারদের তান্ডব। কিছুক্ষণ পরেই আবারও শাহিনের ফাঁদে পা দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন আরেক ওপেনার শর্ট।
এরপর খাদের কিনারায় পড়ে থাকা দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন স্টিভেন স্মিথ এবং জস ইংলিস। তবে তাদের ৩৮ রানের জুটি ভেঙে দেন হারিস রউফ। ২৫ বলে ১৮ রান করে ফেরেন ইংলিস। এর পর-ই উইকেট হারানো মিছিলে মাতেন অজি ব্যাটাররা। একের পর এক পাক পেসারদের কাছে কপোকাত হচ্ছিলো আস্ট্রেলিয়া। স্টিভেন স্মিথের ৩৫ রান এবং শেষ দিকে এডাম জাম্পার ১৮ রানের উপর ভর করে ১৬৩ রানে গুটিয়ে যাই তাসমান পাড়ের দেশ অস্ট্রেলিয়া।
পাকিস্তানের হয়ে বল হাতে সব কয়টি উইকেট শিকার করেন পাকিস্তানি পেসাররা। ৮ ওভারে ২৯ রান খরচ করে ৫ উইকেট শিকার করেন রউফ। ৮ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট ঝুলিতে ভরেন শাহিন। ১ টি করে উইকেট পান নাসিম শাহ এবং মোহাম্মদ হাসনাইন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু পায় পাকিস্তান। দুই ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক এবং সাইম আইয়ুব জুটি বেঁধে স্কোর বোর্ডে জমা করেন ১৩৭ রান। ৭১ বলে ৮৪ রান করে আইয়ুব ফিরলে ততক্ষণে প্রায় লক্ষ্য মাত্রায় পৌঁছিয়ে যাই পাকিস্তান। এরপর বাবর আজমকে সঙ্গে নিয়ে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান শফিক। ফলে ৯ উইকেটের বড় জয় পান বারর-রিজওয়ানরা। মাঠ ছাড়ার আগে অপরাজিত থেমে ৬৯ বলে ৬৪ রান করেন শফিক। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে বল হাতে ১ টি মাত্র উইকেট শিকার করেন জাম্পা।
এর আগে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে প্রথম ব্যাট করতে নেমে ২০৩ রানের গুটিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে নাটকীয় ম্যাচে ইংলিশের ৪৯ রান এবং কামিন্সের ক্যাপ্টেন্সি ইনিংসের উপর ভর করে ২ উইকেটের জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। সিরিজের তৃতীয় এবং শেষ ম্যাচে আগামী ১০ নভেম্বর পার্থে মুখোমুখি হবে এই দুই দল।
আরও পড়ুনঃ ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ইতি টানতে যাচ্ছেন নবি
ক্রিফোস্পোর্টস/৮ নভেম্বর ২৪/এইচআই