নভেম্বরের ফিফা উইন্ডোতে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশ সফরে এসেছে মালদ্বীপ। সফকারীদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ১-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণ প্রত্যাবর্তন করেছে স্বাগতিকরা। প্রথমে পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার শিষ্যরা।
এদিন বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় বাংলাদেশের ডিফেন্ডারদের ভুলে প্রথমেই লিড নেয় মালদ্বীপ। ম্যাচের ২৩ মিনিটে ডিফেন্ডার তপু বর্মণের ভুল পাস৩ বল পেয়ে যান প্রতিপক্ষের মিডফিল্ডার ইব্রাহিম হোসেন। আর সেই সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি ইব্রাহিমরা।
আগেই বক্সের কাছে থাকা আলী ফাসিরকে উদ্দেশ্য করে বল বাড়ান। সেখান থেকে বাংলাদেশের দুই ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষক মিতুল মারমাকে ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়ান ফাসির। প্রথম ম্যাচে তার একমাত্র গোলেই জয় পেয়েছিল মালদ্বীপ।
আরও পড়ুন:
» ১৩ বছর বয়সেই জায়গা পেল আইপিএলের নিলামে, কে এই বিস্ময় বালক?
» আশা জাগিয়ে জয় হাতছাড়া করল পাকিস্তান
প্রথম ম্যাচে শুরুতে গোল হজম করেও গোল পরিশোধের একাধিক সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধেও গোল শোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে তারা। তবে এবার সেই ভুল করেনি বাংলাদেশ। প্রথমার্ধেই গোল শোধ সমতায় ফিরেছে লাল-সবুজ বাহিনী।
ম্যাচের ৪৩ মিনিটে মজিবুর রহমান জনির দুর্দান্ত গোলে সমতায় ফিরেছে বাংলাদেশ। বক্সের ভেতরে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে জনিকে বল দেন মোরসালিন। বক্সের বাইরে বল পেয়ে স্পেস তৈরি করে কোনাকুনি শট নিয়ে বল জালে জড়ান জনি।
প্রথমার্ধের ১-১ গোলের সমতার পর দ্বিতীয়ার্ধে জয়ের লক্ষ্যে এগোচ্ছিলো বাংলাদেশ। তবে কাঙ্খিত সেই গোলের দেখা পাচ্ছিল না রাকিব-মোরসালিনরা। নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলের সমতার পর ড্রর দিকে যাচ্ছিলো ম্যাচটি। তবে যোগ করা সময়ে ম্যাচের স্কোরলাইন পাল্টে দিয়েছে স্বাগতিকরা।
যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে বদলি ফুটবলার পাপন সিংয়ের গোলে লিড নেয় বাংলাদেশ। বাম প্রান্ত থেকে শাহরিয়ার ইমনের বাড়ানো বল বক্সের মধ্যে পেয়ে যান পাপন। আর সেখান থেকেই বল জালে পাঠিয়ে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত আমাদের ২-১ গোলের ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে তপু-মোরসালিনরা।
চলতি বছর এটিই ছিল বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ। এ বছর মোট আটটি ম্যাচ খেলেছে মোরসালিনরা। যার মধ্যে দু’টি জয় এবং ছয়টি ম্যাচে হেরেছে হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার শিষ্যরা।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৬নভেম্বর২৪/বিটি