গত বছরের অক্টোবর মাসে ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ হতে বিডের আয়োজন করা হয়। যেখানে ২০৩৪ ফুটবল বিশ্বকাপ এককভাবে আয়োজনের জন্য বিড করে সৌদি আরব। ওই বিড সভায় আরও কোনো দেশ বিডে অংশ নেননি। ফলে ২০৩৪ বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ হতে এগিয়ে আছে দেশটি।
সৌদি আরব এককভাবে বিড করলেও ফিফা থেকে এখনও নিশ্চিত করা হয়নি কে হবে ২০৩৪ বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ। যদিও চলতি বছরের শেষ দিকে ২০৩৪ বিশ্বকাপের আয়োজক দেশের নাম ঘোষণা করবে ফিফা।
সৌদি আরবের ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্পের লক্ষ্যে ২০৩০ সালের মধ্যে কিং সালমান স্টেডিয়াম তৈরি নিয়ে মহাপরিকল্পনা রয়েছে সৌদি সরকারের। যেখানে দর্শক ধারণ ক্ষমতা হবে ৯২ হাজার। যা সৌদি আরবের সর্বোচ্চ দর্শক ধারণ ক্ষমতা হবে। গতকাল (সোমবার) জিও নিউজকে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সৌদি আরব ফুটবল ফেডারেশন (এসএএফএফ)।
আরও পড়ুন:
» আফ্রিকান ব্যালন ডি’অর ২০২৪ : কে হচ্ছেন সেরা খেলোয়াড়?
» ভারতের বিপক্ষে উঠেছে বড় অভিযোগ, কীভাবে দেখছে আইসিসি?
এসময় সৌদি আরব ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি ইয়াসের আল মিশেহাল বলেন, ‘আমরা ২০৩৪ বিশ্বকাপ আয়োজনের মধ্য দিয়ে আমাদের সংস্কৃতি বিশ্ববাসীকে জানাতে চায়। এর মাধ্যমে সৌদির উন্নতিও জানানো হবে আমন্ত্রিত অতিথিদের। ভক্ত সমর্থকদের এক দারুণ অভিজ্ঞতা উপহার দিতে সর্বাত্মক চেষ্টা থাকবে আমাদের। আশা করছি আমরা ভালোভাবেই সবটা করতে পারবো।’
২০৩৪ বিশ্বকাপ সামনে রেখে যে মেগা প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে সৌদি সরকার সেখানে থাকবে প্রকৃতি ও উন্নত প্রযুক্তির এক দারুণ সমন্বয়। আয়োজনে থাকবে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি শীতাতপ এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী প্রযুক্তি। যা পরিবেশের দূষণ ও অন্যান্য ব্যয় কমাতে সাহায্য করবে।
মূলত এত এত এই উন্নত পরিকল্পনার পরিকল্পক হিসেবে কাজ করবে বিশ্বসেরা স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান পপুলাস। এধরনের পরিবেশ উপযোগী কাজ করতে তাদের পরিকল্পনা পছন্দ হয়েছে সৌদি সরকারেরও। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট গ্রাউন্ডও পপুলাসের পরিকল্পনা অনুযায়ী তৈরি করা।
মূলত সৌদি আরবের সবচেয়ে বড় এই স্টেডিয়ামটি ব্যবহৃত হবে সৌদি ফুটবল দলের ক্যাম্প ভেন্যু হিসেবে। এখানে থাকবে একাধিক ট্রেনিং গ্রাউন্ড। যা খেলোয়াড়দের একটানা অনুশীলনের জন্য কার্যকর ভূমিকা রাখবে। তাছাড়া এই স্টেডিয়ামের সঙ্গে আরও যুক্ত করা হবে বাস্কেটবল, ভলিবল ও প্যাডেল কোর্ট গ্রাউন্ড।
এছাড়াও অনিন্দ্য সুন্দর এই স্টেডিয়ামে দেখা যাবে ফুল বাগান, অ্যাকুয়াটিক সেন্টার, ফ্যান জোন, অলিম্পিক সাইজের মতো পুল, অ্যাথলেটদের জন্য অ্যাটলেটিক্স ট্র্যাকও দেখা যাবে। তাছাড়া এর ভিতরে থাকবে বৃহদাকার ইনডোর স্পোর্টস হল এবং স্টেডিয়ামের ছাদে হাঁটার ব্যবস্থাও থাকবে। যেখান থেকে উপভোগ করা যাবে কিং আব্দুল আজিজ পার্কের সম্পূর্ণ সৌন্দর্য।
উল্লেখ্য যে ২০৩৪ বিশ্বকাপ সামনে রেখে সৌদি আরবের এই স্টেডিয়ামটি তৈরিতে খরচ হবে কয়েক বিলিয়ন ডলার। স্টেডিয়ামটির কাজ শেষ হবে মূলত ২০২৯ সালের শেষের দিকে। এখানে মূলত ঘরোয়া টুর্নামেন্টের পাশাপাশি আঞ্চলিক ম্যাচগুলো আয়োজন করা হবে। ২০৩৪ বিশ্বকাপের ম্যাচ দিয়ে স্টেডিয়ামটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ম্যাচ আয়োজনের সূচনা করবে।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৯নভেম্বর২৪/এসআর/বিটি