ছাত্র-জনতা গণ আন্দোলনের পর পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে দেশের বিভিন্ন পর্যায়ে। সেই ধারাবাহিকতায় দেশের ক্রিকেট বোর্ডেও এসেছে বড় রদবদল। নাজমুল হাসান পাপনের বোর্ড সভাপতির চেয়ারে বসেছেন ফারুক আহমেদ। দায়িত্ব নিয়েই ক্রিকেট কাঠামো সংস্কারে মন দিয়েছেন তিনি। ফলে সেই ধারায় ১১তম বিপিএল আসর ঘিরে নতুনভাবে পরিকল্পনা সাজিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১১তম আসর। অন্যবারের তুলনায় এবারের আসরকে আরও আকর্ষণীয় ও জমজমাট করে তুলতে নতুন নতুন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে ক্রিকেট বোর্ড। এবারের আসরে থাকছে নতুন নতুন চমক। এছাড়া বিপিএলের মান উন্নয়নে বিশেষ নজর রয়েছে বিসিবির। যেখানে প্রত্যক্ষভাবে ভূমিকা রাখছে প্রধান উপদেষ্টার দফতর।
ইতোমধ্যেই বিপিএলের ১১তম আসরকে সামনে রেখে মিরপুরের হোম অব গ্রাউন্ডে চলছে ব্যাপক সংস্কার কাজ। গ্যালারি থেকে শুরু করে স্কোর বোর্ড, জায়ান্ট স্ক্রিন সবকিছুতে আধুনিকত্ব এবং নতুনত্বের ছোঁয়া লেগেছে। বাদ যায়নি শেরেবাংলা ক্রিকেট গ্রাউন্ডের বিল্ডিংগুলোর ছাউনি সংস্কারও। এ ধরনের সকল সংস্কারে কাজ শেষ হবে আগামী ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে।
আরও পড়ুন:
» দ্বিতীয় টেস্টে যে পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
» এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচেই সেঞ্চুরি হাকালেন নতুন তামিম
জানা গেছে আগামী ২৩ ডিসেম্বরে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে হবে এবারের আসরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। যে কারণে এনসিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের সুপার ফোরের ম্যাচও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে মিরপুর থেকে।।
শুধু তাই নয়, এবারের বিপিএলকে আকর্ষণীয় করতে নেওয়া হয়েছে আরও কিছু নতুন পরিকল্পনা। সেই ধারাবাহিকতায় এবারের বিপিএলের জন্য নির্ধারণ করা তিন ভেন্যুতেই পৃথকভাবে আয়োজন করা হবে উদ্ধোধনী অনুষ্ঠান। মিরপুরের পর আগামী ২৫ ও ২৭ ডিসেম্বর যথাক্রমে সিলেট ও চট্রগ্রামে আয়োজিত হবে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানগুলো।
উল্লেখ্য যে, এনসিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের লিগ পর্বের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। তবে আগামী ২১, ২২ ও ২৪ ডিসেম্বর সুপার ফোরের ম্যাচগুলো আয়োজিত হওয়ার কথা ছিল মিরপুরে। কিন্তু বিপিএলের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠান আয়োজনের কারণে এনসিএলের সুপার ফোরের ম্যাচগুলোও অনুষ্ঠিত হবে সিলেটেই।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৯নভেম্বর২৪/এসআর/বিটি