অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে শুরুটা দুর্দান্ত করেছিল ভারত। পার্থ টেস্টে স্বাগতিকদের বেশ দাপট দেখিয়ে হারিয়েছে সফরকারীরা। তবে এবার দ্বিতীয় টেস্টে এসে হোঁচট খেল রোহিত শর্মার দল। অ্যাডিলেডে গোলাপি বলের দিবা-রাত্রির টেস্টে প্যাট কামিন্সদের বিপক্ষে পাত্তাই পায়নি দলটি। টেস্টের তৃতীয় দিনেই অজিদের কাছে ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে টিম ইন্ডিয়া।
অ্যাডিলেডে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে মিচেল স্টার্কের বোলিং তোপে ১৮০ রানেই গুটিয়ে যায় ভারত। এরপর ট্র্যাভিস হেডের ১৪০ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে ভড় করে প্রথম ইনিংসে ৩৩৭ রান সংগ্রহ করে অস্ট্রেলিয়া। ১৫৭ রান পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়ে ভারত। প্যাট কামিন্স-স্টার্কদের আগুন ঝরানো বোলিংয়ে ১৭৫ রানে অলআউট হয়ে যায় টিম ইন্ডিয়া। এতে টার্গেট দাঁড়ায় ১৯ রান, যা ১০ উইকেট হাতে রেখেই টপকে যায় স্বাগতিকরা।
পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে বর্তমানে ১-১ সমতা বিরাজ করছে। তবে এই হারের পর বড় দুঃসংবাদ পেয়েছে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষস্থান হারিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। দুই ধাপ নিচে নেমে তিনে অবস্থান করছে রোহিত শর্মার। এমনকি দীর্ঘদিন শীর্ষে রাজত্ব করার দলটির এখন ফাইনালে খেলা নিয়েই শঙ্কা জেগেছে।
আরও পড়ুন:
» রাতে মুখোমুখি বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ, সরাসরি দেখবেন যেভাবে
» বাংলাদেশকে কোন ছাড় দিতে নারাজ উইন্ডিজ কোচ
এদিকে ভারতকে হারিয়ে তিন থেকে দুই ধাপ এগিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে অস্ট্রেলিয়া। টুর্নামেন্টের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের সাফল্যের হার ৬০.৭১ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়ার পরেই অবস্থান দক্ষিণ আফ্রিকার। তাদের সাফল্যের হার ৫৯.২৬ শতাংশ। আর তিনে নেমে যাওয়া ভারতের সাফল্যের হার ৫৭.২৯ শতাংশ।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ২০২৩-২৫ চক্রে ভারতের ম্যাচ বাকি ৩টি। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচ বাকি ৫টি যার মধ্যে ভারতের বিপক্ষে ৩টি এবং বাকি দুটি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ভারত বাকী তিন ম্যাচে জিতলে তাদের সাফল্যের হারা দাঁড়াবে ৬৪.০৪ শতাংশ, আর অস্ট্রেলিয়ার ৫০ শতাংশ। এছাড়া ভারতের ফাইনালে যাওয়ার ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া-শ্রীলঙ্কা সিরিজের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে।
এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট খেলছে। এরপর পাকিস্তানের বিপক্ষে দুটি টেস্ট রয়েছে তাদের। এই সবগুলো টেস্ট জিতলে তাদের সাফল্যের হার হবে ৬৯.৪৪ শতাংশ। সেক্ষেত্রে ভারত-অস্ট্রেলিয়াকে বেশ পেছনে ফেলেই ফাইনালে উঠে যাবে প্রোটিয়ারা।
তবে ভারতের শীর্ষ দুইয়ে থাকাটা বেশ কঠিন হবে। কেননা বাকি তিনটি ম্যাচ অস্ট্রেলিয়ার মাটিতেই হবে। যেখানে স্বাভাবিকভাবেই ফেবারিট স্বাগতিকরা।
ক্রিফোস্পোর্টস/৮ডিসেম্বর২৪/বিটি