টেস্ট সিরিজ ১-১ ড্র করার পর গতকাল (৮ডিসেম্বর) ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশ। ব্যাটিং সহায়ক পিচে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামে টাইগাররা। এরপর দলের ব্যাটারদের দৃঢ়তায় লড়াকু রান নিয়ে ইনিংস শেষ করে সফরকারীরা। কিন্তু লড়াকু রান তুলেও শেষ পর্যন্ত কোনো ধরনের প্রতিযোগিতা ছাড়াই ম্যাচ হেরেছে মেহেদি হাসান মিরাজের দল।
আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৯৪ রান তোলে বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৪ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখেই ম্যাচটি জিতে নেয় স্বাগতিকরা। ব্যাটিং সহায়ক পিচে মাত্র ৮০ বলে ১১৩ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন শেরফনে রাদারফোর্ড। এছাড়াও দলের জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন শাই হোপ এবং জাস্টিন গ্রেবস। শাই হোপ ৮৮ বলে ৮৬ এবং জাস্টিন গ্রেবস ৩১ বলে ৪১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন।
এদিকে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ১০০ এর কাছাকাছি স্ট্রাইক রেট নিয়ে ব্যাটিং করেছে বাংলাদেশের অধিকাংশ ব্যাটার। তবে ব্যতিক্রম ছিলেন অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৪ রানের ইনিংস খেলেলেও ব্যাটিং সহায়ক পিচে এই রান করতে তাকে মোকাবেলা করতে হয়েছে ১০১টি বল। অন্যদিকে বল হাতেও ছিলেন খরুচে। ৯ ওভার বোলিং করে ৬২ রান দিয়েছেন এই স্পিনার, নিয়েছেন একটি উইকেট।
আরও পড়ুন:
» যুব এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়নদের জন্য মোটা অঙ্কের পুরস্কার ঘোষণা
» চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আসছে বাংলাদেশে, সকলের দেখার সুযোগ থাকছে
তবে বাংলাদেশ পিছিয়ে যায় ব্যাটিংয়েই। ব্যাটিং সহায়ক পিচে কমপক্ষে ২০-৩০ রান কম হয়েছে সফরকারীদের। আর এমন পিচে মিরাজের এমন মন্থর ব্যাটিংয়ের কারণেই মূলত বাংলাদেশকে হারতে হয়েছে বলে মনে করেন সমর্থকরা।
শান্ত ও মুশফিক দলে না থাকায় সম্প্রতি উপরের দিকে ব্যাটিং করার সুযোগ পাচ্ছেন মিরাজ। ইনিংসের ৮ম ওভারে লিটন দ্রুত সাজঘরে ফিরলে ৪ নম্বর ব্যাটার হিসেবে ক্রিজে আসেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক। এরপর ৩৮ ওভারে দলীয় রান ১৯৮ থাকাকালে ১০১ বলে ৭৪ রান করে আউট হন এই ডানহাতি ব্যাটার। এ ম্যাচে মিরাজের স্ট্রাইক রেট ছিল ৭৩.২৬। যা পুরো ম্যাচের সর্বনিম্ন স্ট্রাইক রেট।
এছাড়া হাফ সেঞ্চুরি পূরণের পরও হাতখুলে খেলতে দেখা যায়নি তাঁকে। তানজিদের সঙ্গে ৯৭ বলে ৭৯, এরপর আফিফের সঙ্গে ৬২ বলে ৫৪ এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে ২২ বলে ১৯ রানের তিনটি জুটি গড়েন মিরাজ। যেখানে অন্যদের থেকে স্লো ব্যাটিং করেছেন টাইগার দলপতি। তার বিপরীতে থাকা খেলোয়াড়দেরকেই চাপ নিয়ে রানের গতি বাড়াতে হয়েছে।
এ বিষয়ে মিরাজকে প্রশ্ন করা হলে মিরাজ বলেন, ‘দেখুন, লিটন আউট হওয়ার দল যখন বিপদে পড়ে যায় তখন আমি ক্রিজে আসি। এরপর আমি আর তানজিদ একটা ভালো জুটি গড়ি। কিন্তু হঠাৎ তানজিদ আউট হয়ে গেলে আফিফ আসে এমন সময় আমি মেরে খেলতে পারি না এতে করে দল চেপে পড়ে যেত৷ এরই মাঝে আফিফও আউট হয়ে যায়। এরপর রিয়াদ ভাই এসে সেট হয়ে গেলে তারপর আমি মেরে খেলার চেষ্টা করেছি।’
উল্লেখ্য যে সিরিজে সমতায় ফিরতে আগামী ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।
ক্রিফোস্পোর্টস/৯ডিসেম্বর২৪/এসআর/বিটি