বিপিএলের এবারের আসর যেন ছক্কার উৎসব। প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই ছক্কার ঝড় তুলছে খেলোয়াড়েরা। এমনকি ছক্কার আগের রেকর্ডও ছাপিয়ে গেছে এবারের বিপিএল। যদিও এবারের আসরে সীমানা কিছুটা কমানো হয়েছে। তাছাড়া পিচ ব্যাটিং সহায়ক হওয়াতেই ছক্কা উৎসবে মেতে উঠেছে ব্যাটাররা।
২০২৫ বিপিএল শুরুর আগেই বিসিবি জানিয়েছিল, এবারের পিচ হবে ব্যাটিং সহায়ক। যা সবশেষ কয়েকটি আসরে দেখা যায়নি। চট্টগ্রাম কিংবা সিলেটের পিচ ব্যাটিং সহায়ক হলেও মিরপুরের পিচ ছিল বোলিং সহায়ক। তবে এবার মিরপুরেও দেখা গেছে ব্যাটিং সহায়ক পিচ। যার ঝলক মিলেছিল উদ্বোধনী দিনেই।
এবার সিলেটেও উদ্বোধনী দিনে ছক্কা বৃষ্টিতে মেতে উঠেছিল ব্যাটাররা। এমনকি সিলেট স্ট্রাইকার্স ও রংপুর রাইডার্সের প্রথম ম্যাচটি ছক্কার আগের সব রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) সিলেট পর্বের প্রথম ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্স আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪ উইকেটে ২০৫ রান করে। যেখানে ছক্কার মার ছিল ১৬। জবাবে রংপুর রাইডার্স মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ১ ওভার হাতে রেখেই ২১০ রান তুলে জয় নিশ্চিত করে। আর এ রংপুরের ইনিংসে ছক্কার মার ছিল ১৫টি।
আরও পড়ুন:
» তামিমের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে জয়ে ফিরল বরিশাল
» বাংলাদেশে এসে খেলতে আমার খুব ভালো লাগে : অ্যালেক্স হেলস
সবমিলিয়ে দুই ইনিংসে মোট ছক্কা হয়েছে ৩১ টি, যা বিপিএলের ইতিহাসে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ। এর আগে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ছক্কা ছিল ২৯ টি। গত বছর চট্টগ্রামে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ম্যাচে ২৯ ছক্কা হয়েছিল। তবে এবারের বিপিএলেও ২৯ ছক্কার রেকর্ড রয়েছে। মিরপুরের ফরচুন বরিশাল ও দুর্বার রাজশাহীর উদ্বোধনী ম্যাচে মোট ২৯টি ছক্কা হয়েছিল।
সবমিলিয়ে মিরপুরে উদ্বোধনী দিনে দুই ম্যাচ মিলিয়ে মোট ছক্কা হয়েছিল ৪২টি। তবে সেটা ছাড়িয়ে গেছে সিলেটে। এই মাঠে উদ্বোধনী দুই ম্যাচে মোট ছক্কা হয়েছে ৪৫টি।
এবারের বিপিএলে সর্বোচ্চ ছক্কার মালিক ইয়াসির আলী রাব্বি। দুর্বার রাজশাহীর এই ব্যাটার ২ ইনিংসে ১৪ ছক্কা হাঁকিয়েছেন। এই তালিকায় দ্বিতীয় নম্বরে আছেন আরেক বাংলাদেশি সাইফ হাসান। সমান ইনিংসে ১২ ছক্কা হাকিয়েছেন রংপুর রাইডার্সের এই টপ অর্ডার ব্যাটার। এছাড়া তিনে থাকা থিসারা পেরেরা ৩ ইনিংসে ১১টি, চারে থাকা অ্যালেক্স হেলস ৪ ইনিংসে ১০টি এবং পাঁচে থাকা মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন মাত্র ২ ইনিংসে ৮ ছক্কা হাকিয়েছেন।
ক্রিফোস্পোর্টস/৬জানুয়ারি২৫/বিটি