২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশ দলে সবচেয়ে বড় চমক লিটন দাসের বাদ পড়া। এ নিয়ে দেশের ক্রিকেটে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ কেউ নির্বাচকদের সমালোচনা করছেন আবার কেউ কেউ বলছেন ইতিবাচক সিদ্ধান্ত। এছাড়া সাকিব আল হাসানের বাদ পড়া নিয়েও অনেকে সমালোচনা করছেন।
লিটনের পরিবর্তে দলে সুযোগ পেয়েছেন বাঁহাতি ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। এছাড়া দলের আরো দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও তানজিদ হাসান তামিমও বাঁহাতি। তবে এই কম্বিনেশনে ঘাটতি দেখছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক ও নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। । এই দলে তিন বাঁহাতি না নিয়ে ডানহাতি ওপেনার লিটনকে বিবেচনা করা যেত বলে মনে করেন এই সাবেক।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নান্নু বলেন, ‘তিনটা বাঁহাতি ওপেনার একসঙ্গে। আর ইমন অতটা অভিজ্ঞ নয়। আমি সবকিছু বিবেচনা করে বলব লিটন দাসের ব্যাপারে ওপেনিংয়ে চিন্তা-ভাবনা করা যেত। কারণ ওর যথেষ্ট অভিজ্ঞতা আছে বড় টুর্নামেন্টগুলো খেলার। আর আমাদের প্রথম ম্যাচটা কিন্তু দুবাইতে। আর দুবাইতে লিটনের রেকর্ডটা বেশ ভালো।’
আরও পড়ুন:
» পিএসএলে দল না পেয়ে অবসরে ২২ বছরের পেসার
» ভাঙা স্টিক দিয়ে শুরু, গলফার সিদ্দিকুরের গল্পটা যেন স্বপ্নের মতো
এদিকে অভিষেকের পর প্রথমবারের মতো সাকিব আল হাসানকে ছাড়াই কোনো আইসিসি ইভেন্টে অংশ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিং থেকে নিষিদ্ধ হয়েছেন এই তারকা। তবে বর্তমান ফর্ম বিবেচনায় শুধু ব্যাটার সাকিবকে দলে রাখার ব্যাপারে আগ্রহ দেখায়নি নির্বাচক প্যানেল।
তবে নান্নু মনে করেন, আইসিসি ইভেন্টে সাকিবের অভিজ্ঞতা বিবেচনায় রেখে শুধু ব্যাটার হিসেবেই তাকে দলে রাখা যেত। তাছাড়া তামিম ইকবাল না থাকায় অভিজ্ঞ ক্রিকেটার হিসেবে সাকিবকে সুযোগ দেওয়া যেত বলে মনে করেন তিনি।
সাবেক প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘অভিজ্ঞতার কারণে ব্যাটার সাকিবকে দলে সুযোগ দেওয়া যেত। যেহেতু তামিম ইকবাল নাই, এখানে একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে অবশ্যই সুযোগ দেয়া উচিত ছিল। আমি মনে করি এটা দিতে পারত।’
তবে দল যেহেতু ঘোষণা হয়ে গেছে, এখন আর কোনো পরিবর্তন চান না নান্নু। তিনি বলেন, ‘দল পরিবর্তন করার যে ব্যাপারটা, এটা আসলে ঠিক না। দল যখন দিয়ে দিয়েছে এইখানে কারো ইনজুরি না হলে, কারো ফিটনেসে সমস্যা না হলে দল পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই।’
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু হতে এখনো একমাস সময় বাকি। ইতোমধ্যে আইসিসিতে দল পাঠিয়ে দিয়েছে বিসিবি। তবে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কোনো কারণ ছাড়াই দলে পরিবর্তন আনা যাবে।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৪জানুয়ারি২৫/বিটি