চলমান বিপিএলে একের পর এক আলোচনার জন্ম দিচ্ছেন তামিম ইকবাল। কদিন আগেই রংপুরের বিপক্ষে ম্যাচে এক অপ্রত্যাশিত ঘটনার জন্ম দিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। রংপুরের ইংলিশ ওপেনার অ্যালেক্স হেলসের ওপর মেজাজ হারান এই বরিশাল অধিনায়ক। তবে এবার আরো এক অপ্রত্যাশিত ঘটনার জন্ম দিলেন তিনি। হেলসের পর এবার বাংলাদেশের হার্ডহিটার ব্যাটার সাব্বির রহমানের ওপর মেজাজ হারিয়েছেন তামিম।
আজ (বৃহস্পতিবার) ঢাকা ক্যাপিটালস এবং ফরচুন বরিশালের ম্যাচে ঘটেছে এমন ঘটনা। ঢাকার দেওয়া ১৪০ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে ব্যাট করছিলেন তামিম ইকবাল এবং ডেভিড মালান। তবে ইনিংসের নবম ওভারে সাব্বিরের ওপর মেজাজ হারান তামিম।
নবম ওভারের দ্বিতীয় বলটি ডিপ মিড উইকেটের দিকে ঠেলে দিয়ে রান নিচ্ছিলেন তামিম। তখন বাউন্ডারি লাইন থেকে একটু এগিয়ে এসে বলটি ধারেন সাব্বির। তবে তিনি প্রথমবার বল না ধরে একটু ঠেলে দিয়ে একটু সামনে ফেলেন। এরপর দ্বিতীয় দফায় বলটি ধরে বোলারের কাছে ফেরত পাঠান।
আরও পড়ুন:
» ক্রিকেট বোর্ডে আসা নিয়ে যা ভাবছেন তামিম
» তামিমের ফিফটিতে ঢাকাকে হারিয়ে দুইয়ে উঠে এলো বরিশাল
এ সময় রান নিয়ে নন-স্ট্রাইক প্রান্তে আসেন তামিম। আর তখনই সাব্বিরকে উদ্দেশ্য করে কিছু একটা বলতে দেখা যায় তামিমকে। ম্যাচের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, তামিম সাব্বিরকে বলছেন, ‘বেশি লাগতে যেও না সাব্বির, বেশি লাগতে যেও না।’
সাব্বিরকে উদ্দেশ্য করে আরও কিছু বলেছিলেন তামিম, যা অস্পষ্ট ছিল। তবে এরপরেই তামিমের দিকে এগিয়ে আসতে থাকেন সাব্বির। তখন ঢাকার অধিনায়ক অধিনায়ক থিসারা পেরেরা এসে সাব্বিরকে থামান। এছাড়া ফিল্ড আম্পায়ারও পরিস্থিতি শান্ত করতে এগিয়ে আসেন। যদিও এ নিয়ে পরবর্তীতে মাঠে আর কোনো কিছু ঘটেনি।
তবে সাব্বিরের প্রতি তামিমের এমন আচরণের ভিডিওটি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে ক্রিকেট ভক্তরা সমালোচনার ঝড় তুলেছেন।
তবে সাব্বির ‘ফেইক ফিল্ডিং’ করেছেন কিনা এমন আলোচনাও জন্ম দিয়েছে অনেকে মনে। যখন ফিল্ডার ইচ্ছাকৃতভাবে বল হাত থেকে ছেড়ে দেন, যাতে ব্যাটসম্যান বিভ্রান্ত হয়ে আবার রান নেওয়ার চেষ্টা করেন এবং সেই সুযোগে তাকে আউট করা যায়। একেই বলা হয় ‘ফেইক ফিল্ডিং’। আর সাব্বিরের ফিল্ডিংয়ের ক্ষেত্রেও এমনটা ঘটতে পারে। আর সে কারণেই হয়ত রেগে যান তামিম।
তবে মেজাজ হারালেও ব্যাটিংয়ে তার প্রভাব পড়তে দেননি তামিম। বিপিএলে নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে ঢাকার বিপক্ষে ৪৮ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কার মারে ৬১ রানের এক ইনিংস খেলেন এই ওপেনার। তার দলও জয় পায় ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৬জানুয়ারি২৫/বিটি