
দেশের ক্রীড়া সাংবাদিকদের মাঝে বেশ পরিচিত নাম দেব চৌধুরী। তবে সবাইকে অবাক করে দিয়ে গতকাল শুক্রবার ইসলাম গ্রহণ করেন তিনি। আর মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে যায় এই তরুণ সাংবাদিকের ইসলাম গ্রহণের সংবাদ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায় মসজিদে দাঁড়িয়ে কালেমা শাহাদাত পাঠ করার মাধ্যমে ইসলামের ছায়াতলে প্রবেশ করছেন তিনি।
অবশ্য অনেকেই এই বিষয়টি বিশ্বাস করতে চাইছিলেন না। কারণ এখানে দেব চৌধুরীর কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তার সহকর্মীরাও বিস্মিত হয়েছিল আচমকা এমন ধর্মান্তরের ঘটনায়। অনেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন দেব চৌধুরীকে এমন সাহসী সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্যে। যদিও হুট করে এভাবে ধর্ম পরিবর্তন করার কারণ কী, সে বিষয়ে প্রশ্ন জেগেছিল অনেকের মনে।
তবে ধর্মান্তরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আচমকা হুট করে নেননি বলে জানিয়েছেন দেব চৌধুরী নিজে। বেশ কিছুদিন যাবত ইসলাম ধর্ম নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন এই ক্রীড়া সাংবাদিক। সবকিছু ভেবে চিন্তে, কারো কোন প্ররোচনায় না এসে– এমন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিজেই নেন তিনি। রাতে দেশের এক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেব চৌধুরী।
আরও পড়ুন:
» ক্রিকেটার বিজয়ের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
» শেষ ম্যাচেও পরাজিত বাংলাদেশ, লেখা হলো না নতুন ইতিহাস
সেই সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানান, ‘আমি ধর্মান্তরিত হয়েছি এটা সত্য। তবে কারো প্ররোচনায় কিংবা প্রলোভনে পড়ে নয়। কিংবা পরিস্থিতির কোনো চাপেও নয়। আমি দীর্ঘদিন থেকে ইসলামকে ফলো করতে শুরু করি। ব্যাপক পড়াশোনা করেছি, ইসলাম সম্পর্কে জেনেছি। পড়াশোনা করে জানার পর আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে শান্তির ধর্ম ইসলাম গ্রহণ করবো।’
দেব চৌধুরী আরো বলেন, ‘আমি আগে যেমন হাসি-খুশি থাকতাম, সবার সাথে দিলখোলা ও উদারভাবে মিশতাম, মানুষটা আমি এখনও তেমনই থাকবো। পরিবর্তন কেউ দেখবে না। শুধু পার্থক্য এটুকু, আমি আগে হিন্দু ছিলাম, আর এখন হয়েছি মুসলিম। সে সঙ্গে প্র্যাকটিসিং মুসলিম হওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।’
এদিকে ইসলাম গ্রহণ করলেও নিজের নাম পরিবর্তন করবেন কিনা সে বিষয়ে কিছু জানাননি এই জনপ্রিয় ক্রীড়া সংবাদিক। জানা গেছে এখন পর্যন্ত আরবি পড়তে জানেন না তিনি। আর তাই তার বাসায় বাংলা ভাষায় অনূদিত তিনটি কোরআন রয়েছে। গতকাল দারুসসালাম মসজিদের খতিব ও ইসলামিক স্কলার আবদুল হাই মোহাম্মদ সাইফুল্লাহের কাছ থেকে শাহাদাহ পাঠ করেন দেব চৌধুরী।
ক্রিফোস্পোর্টস/১ফেব্রুয়ারি/এফএএস
