বিপিএলের মাঝপথ থেকেই আলোচনা, সমালোচনা এবং বিতর্কে জর্জরিত দুর্বার রাজশাহী। শুরুর দিকে একদম পারফর্ম করতে না পারা দলটি ভুগতে থাকে পারিশ্রমিক জটিলতায়। একাধিকবার ক্রিকেটারদের বেতন হিসেবে চেক প্রদান করা হলেও তা বাউন্স করেছে বারবার। শেষ পর্যন্ত এবার আইনি পথে হাঁটছে বিসিবি।
সর্বশেষ পহেলা ফেব্রুয়ারি ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক পরিশোধ করতে দুর্বার রাজশাহীর মালিক শফিকুর রহমানকে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এবং বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অর্থ পরিশোধের কথা বলা হলেও হয়নি তেমনটি। এমনকি বিদেশি ক্রিকেটারদের তাদের দেশেও পাঠানোর ব্যবস্থা করতে পারছে না ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
জানা যায়, আজ ৩ ফেব্রুয়ারি সকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে নেয়া হয় রাজশাহীর মালিক শফিকুর রহমানকে। অনাকাঙ্ক্ষিত এই সংকট মোকাবেলায় কী ব্যবস্থা নিচ্ছে দলটি, সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাকে। যেখানে শফিক সাহেব ক্রিকেটারদের তিন কিস্তিতে ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সমস্ত পারিশ্রমিক পরিশোধের আশ্বাস দিয়েছেন।
আরও পড়ুন:
» রংপুর রাইডার্সের বিশাল ধামাকা, রাসেলসহ দলে নিল ৪ তারকা!
» আর এক ম্যাচ হারলেই বিপিএল থেকে ছিটকে যাবে রংপুর
যার মধ্যে আজ সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) প্রথম কিস্তিতে নতুন করে ২৫ শতাংশ পারিশ্রমিক প্রদান করা হবে ক্রিকেটারদের। একই ভাবে ৭ এবং ১০ ফেব্রুয়ারি ২৫ শতাংশ করে বাকি অর্থ প্রদান করবে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। এছাড়া বিদেশি ক্রিকেটারদের একসঙ্গে না হলেও ধাপে ধাপে দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
জানা গেছে জিজ্ঞাসাবাদের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজত থেকে ছেড়ে দেয়া হয় রাজশাহীর মালিককে। এদিকে আজকের মধ্যে ক্রিকেটাররা পারিশ্রমিকের একটা অংশ না পেলে চলমান সংকট আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেখানে আসতে পারে আন্তর্জাতিক চাপও। যেমন এরইমধ্যে বিপিএলে খেলা পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক দ্রুত বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বলেছে পিসিবি।
আন্তর্জাতিক মহলে ইতোমধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে বিপিএলের পারিশ্রমিক ইস্যু নিয়ে। যা একটি সফল টুর্নামেন্ট আয়োজনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। দ্রুত সময়ে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক বুঝিয়ে দিতে না পারলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে রাজশাহীর মালিক পক্ষকে। এবার শুধু দেখার অপেক্ষা, বেতন দেয়ার এই নতুন আশ্বাস তারা রাখতে পারেন কিনা।
ক্রিফোস্পোর্টস/৩ফেব্রুয়ারি/এফএএস