![Bangladesh women football saff champion](https://www.crifosports.com/wp-content/webp-express/webp-images/uploads/2025/02/Bangladesh-women-football-saff-champion.jpg.webp)
বর্তমানে বাংলাদেশ নারী ফুটবলে সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। দলের প্রধান কোচের সঙ্গে নারী ফুটবলারদের বিরোধ অনেকটা অস্বস্তিতেই ফেলেছে দেশের ফুটবল ফেডারেশনকে। তবে সকল অস্থিরতা কাটিয়ে বড় সুখবর পেল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। চলতি বছর ‘একুশে পদক-২০২৫’ সম্মাননা পেতে যাচ্ছে তারা।
নারী ফুটবল দল ছাড়াও– ভাষা ও সাহিত্য, শিল্পকলা, গবেষণা, ক্রীড়াসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ১৪ জন ব্যক্তি পেতে যাচ্ছেন এই সম্মাননা পুরস্কার। সরকার কর্তৃক দেয়া দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক এই সম্মাননা দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে অন্তবর্তীকালীন সরকার। আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করে।
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল কিছুদিন আগেই টানা দ্বিতীয়বারের মতো দক্ষিণ এশিয়ান ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে ফিরেছে। পরপর দুবার সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন দেশের নারী ফুটবলাররা। এরপর সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও নানা প্রতিষ্ঠান থেকে অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছিল সাফজয়ী মেয়েরা।
আরও পড়ুন:
» বিপিএলে তাসকিনের রেকর্ডে ভাগ বসাতে পারবেন খালেদ?
» ইয়েশার বিপিএল ছাড়ার প্রসঙ্গে জানা গেল চমকপ্রদ খবর
ভাষা ও সাহিত্যে অবদান রাখায় শহীদুল জহির (মরণোত্তর) ও হেলাল হাফিজকে (মরণোত্তর), শিক্ষায় ড. নিয়াজ জামান, ফেরদৌস আরা ও সঙ্গীতে উস্তাদ নিরোদ বরন বড়ুয়া, চলচ্চিত্রে অবদান রাখায় আজিজুর রহমান (মরণোত্তর) এবং সমাজসেবায় মো. ইউসুফ চৌধুরীকে (মরণোত্তর) একুশে পদক দেয়া হচ্ছে।
এছাড়া, গবেষনায় মঈদুল হাসান, সংস্কৃতি ও শিক্ষায় ড. শহীদুল আলম (দৃক), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অভ্রর জনক মেহেদী হাসান খান, মানবাধিকার ও সাংবাদিকতায় মাহমুদুর রহমান (আমার দেশ), সাংবাদিকতায় মাহফুজুল্লাহ, চিত্রকলায় রোকেয়া সুলতানা, আলোকচিত্রে নাসির আলী মামুন এবং ক্রীড়া ক্ষেত্রে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল একুশে পদক পাচ্ছেন।
একুশে পদক হলো বাংলাদেশ সরকারের দেয়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা। ১৯৭৬ সাল থেকে এটি প্রদান করা হচ্ছে। প্রধানত ভাষা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এটি চালু করা হলেও পরবর্তীতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য এই পদক প্রদান করা হয়।
এটি সাধারণত প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারির আগে ঘোষণা করা হয় এবং সরকারিভাবে ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিতেই প্রদান করা হয়। বিজয়ীদের একটি স্বর্ণপদক, একটি সম্মাননাপত্র এবং একটি আর্থিক পুরস্কার প্রদান করা হয়।
ক্রিফোস্পোর্টস/৬ফেব্রুয়ারি/এফএএস
![](https://www.crifosports.com/wp-content/webp-express/webp-images/uploads/2023/04/Crifosports-logo-2.png.webp)