
বাংলাদেশ ফুটবল দল এখন নিজেদের শক্তিমত্তা বাড়াচ্ছে প্রবাসী তরুন ফুটবলারদের দলে ভিড়িয়ে। যার সর্বশেষ সংযোজন প্রিমিয়ার লিগ তারকা হামজা চৌধুরী। অবশ্য এরপর জাতীয় দলের প্রাথমিক স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন ইতালির আরেক ফুটবলার ফাহামেদুল ইসলাম। এবার আরও দুই ইউরোপীয় প্রবাসী ফুটবলার নিজেদের অপেক্ষার কথা জানালেন জাতীয় দলে খেলার।
ইতালির ফুটবলে খেলা ২০ বছর বয়সী যমজ দুই ভাই আশিক ও অনিক। সর্বশেষ খেলেছেন তারা এফসি স্টকহোমের অনূর্ধ্ব-২১ দলে। তার বাবা-মা দুজনেই বাংলাদেশি। বর্তমানে ঢাকায় রয়েছেন দুই ভাই। এখানে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে খেলতে চান তারা। আর তাই একাধিক ক্লাবে চলছে ট্রায়াল।
তবে সুইডেন প্রবাসী এই ফুটবলারদের বাংলাদেশের আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া বেশ বড় চ্যানেল বলে মনে করছেন নিজেরাই। ইউরোপের টার্ফে অভ্যস্ত আরিফ-অনিক ঘাসের মাঠে ভুগছেন। তবে কষ্ট হলেও হাল ছাড়তে চান না তারা। নিয়মিত অনুশীলনে নিজেদের মানিয়ে নিতে চান।
আরও পড়ুন:
» চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নিরাপত্তায় কঠোর অবস্থানে পাকিস্তান
» চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচসহ আজকের খেলা (১৯ ফেব্রুয়ারি ২৫)
সৈয়দ অনিক রহমান দেশের এক সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা দুজনই এফসি স্টকহোমের অনূর্ধ্ব-২১ দলে খেলেছি। আমি রাইট ও লেফট উইংয়ে খেলেছি। ও (আশিক) অ্যাটাকিং মিডফিল্ডেও খেলতে পারে। আমরা একই দলে খেলেছি এই কিছুদিন।’
জাতীয় দলে রয়েছে খেলার স্বপ্ন। সুইডেনে বড় হলেও বাংলা জানেন ভালোই। দেশের ফুটবলে হামজা-জামাল তাদের আইডল। সৈয়দ আশিক রহমান বলেন, ‘আমার ইচ্ছা আছে বাংলাদেশের ফুটবলে সাহায্য করা। দূরে থেকে এখানে এসেছি জাতীয় দলে খেলতে আর দলকে সাহায্য করতে। এটা আমার স্বপ্ন।’
অবশ্য সামর্থ্য থাকলে দেশের জার্সিতে খেলতে তাদের খুব বেশি কষ্ট করতে হবে না। কেননা এরই মধ্যে বাংলাদেশের পাসপোর্ট প্রস্তুত হয়ে গেছে দুই ভাইয়ের। অনিক-আশিকের পরিবার সুইডেনের স্টকহোমে থাকলেও বরিশালে রয়েছে তার দাদা বাড়ি। প্রিমিয়ার লিগ দিয়ে দেশের মাটিতে ফুটবল যাত্রা শুরু করলেও জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন তাদের।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৯ফেব্রুয়ারি২৫/এফএএস
