Connect with us
ক্রিকেট

যে পাঁচ ভুলে হারলো বাংলাদেশ, রয়েছে কিছু প্রাপ্তিও!

Jaker Kohli
ফিফটির পর জাকেরের উদযাপন (বায়ে) মাঠে নামার আগে শিশুদের সাথে কোহলির খুনসুটি।

স্বপ্ন নিয়ে শুরু করা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসরে বড় ধাক্কা বাংলাদেশের। শক্তিশালী ভারতের বিরুদ্ধে ২১ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে হেরেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এই হারের পেছনে রয়েছে কিছু ভুল। আর এমন ম্যাচেও কিছু প্রাপ্তি রয়েছে টাইগারদের।

ক্রিফোস্পোর্টসের চোখে ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের হারের ৫টি কারণ দেখে নিন…

এক. স্লো উইকেটে টস জিতে আগে ব্যাটিং নেওয়া।
দুবাই স্টেডিয়াম অপেক্ষাকৃত স্লো মাঠ। ৫৮টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলা এই মাঠে তিনশ পার হয়েছে মাত্র চারবার। প্রথম ইনিংসে গড় রান ২১৯। পরে ব্যাটিং করেই বেশি ম্যাচ জয়ের রেকর্ড রয়েছে। তাই সিদ্ধান্তে ভুল করেছেন শান্ত।

Shami

বাংলাদেশের উপর শুরু থেকেই চড়াও হয়ে ৫ উইকেট শিকার শামির।

দুই. টপঅর্ডারের তিন ব্যাটারের ডাক বা শূন্য রানে আউট হওয়া।
ওপেনার সৌম্য সরকার ৫ বলে কোনো রান না করে আউট শামির বলে। ওয়ান ডাউনে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত মাত্র দুটি বলে শূন্য রানে সাজঘরে। এরপর মুশফিকুর রহিম ফিরেছেন গোল্ডেন ডাকে। যা দলকে অনেক ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে।


আরও পড়ুন:

» পারল না বাংলাদেশ, হার দিয়ে শুরু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি

» বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে হৃদয়ের প্রথম সেঞ্চুরিসহ যত রেকর্ড

» নাহিদকে একাদশে না রাখায় অবাক বিসিবির সাবেক অ্যানালিস্ট


তিন. বড় জুটির পর শেষদিকে রান বাড়াতে না পারা।
রিশাদ যখন আউট হলেন তখন স্কোরবোর্ডে রান ২১৪। হাতে তখনও তিনটি উইকেট ও ২৭টি বল। কিন্তু লোয়ার অর্ডারে পরে আর মাত্র ১৪ রানের মাথায় সবকটি উইকেট পড়ে গেল। ওই ২৭ বলে অন্তত ৪০ রান যুক্ত করলে আরও বড় স্কোর হতো টাইগারদের।

Hridoy Jaker

৩৫ রানে ৫ উইকেট নেই। এরপর হৃদয়-জাকেরের ১৫৪ রানের জুটি।

চার. ব্রেক-থ্রু আনতে না পারা।
একমাত্র রিশাদ হোসেন ছাড়া আর কারো বোলিংয়েই তেমন ধার লক্ষ্য করা যায়নি। মোস্তাফিজ দুয়েকটা কাটার দিতে পারলেও ব্রেক থ্রু আনতে পারেননি। তাসকিন কিংবা তানজিম সাকিব আলো ছড়াতে ব্যর্থ হয়েছেন।

পাঁচ. মাহমুদউল্লাহ ও নাহিদ রানাকে একাদশে না রাখা।
গতকাল প্রি ম্যাচ কনফারেন্সে বারবার নাহিদ রানার প্রসঙ্গ উঠেছে। ভারতের ব্যাটাররা নতুন বোলারকে তেমন বুঝে উঠতে পারে না। তাই নাহিদের দরকার ছিল। আর মাহমুদউল্লাহর অভাব তো লোয়ারঅর্ডারে খুব বেশিই পরিলক্ষিত হয়েছে।

তবে হার দিয়ে যাত্রা শুরু করলেও এই ম্যাচে বাংলাদেশের বেশ কিছু প্রাপ্তি আছে। ক্রিফোস্পোর্টস খুঁজে বের করেছে দৃশ্যমান অন্তত তিনটি বড় প্রাপ্তি। চলুন সেগুলো দেখে নেওয়া যাক…

Hridoy

জানপ্রাণ দিয়ে প্রতিরোধ গড়ে প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন হৃদয়।

এক. ব্যাটে-বলে তরুণ জুটির আগমনী সুর।
টপঅর্ডারের ব্যর্থতার পরও যেভাবে বাংলাদেশের ইনিংসকে সামনের দিকে টেনে নিয়েছেন দুই তরুণ, তা প্রশংসার যোগ্য। তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাটিং, জাকেরের দুঢ়তা, শেষ দিকে রিশাদের ছোট্ট ক্যামিও ও বল হাতে ঘূর্ণি দলের জন্য শুভ সংবাদ।

দুই. চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ও ভারতের বিরুদ্ধে নতুন রেকর্ড।
এদিন ষষ্ঠ উইকেটে হৃদয়-জাকের মিলে গড়েন ১৫৪ রানের জুটি। যা শুধু বাংলাদেশ দলেরই ষষ্ঠ উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি নয়, ভারতের বিপক্ষে যেকোনো দলের এবং চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসেই এই উইকেটে সর্বোচ্চ।

Riyad nahid

একাদশে নাহিদ রানা ও মাহমুদউল্লাহ না থাকায় অনেকেই অবাক হন।

তিন. পুরোনো রেকর্ডে উঠলো তাওহীদ হৃদয়ের নাম।
আজ সেঞ্চুরি করে দুটি রেকর্ডে নাম যুক্ত করেছেন তাওহীদ হৃদয়। ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ওভালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১২৮ রান করেছিলেন তামিম ইকবাল, সেটি ছিল চ্যাম্পিয়নস ট্রফি অভিষেকে সেঞ্চুরি করা প্রথম কোনো বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানের রেকর্ড। হৃদয় এখন চ্যাম্পিয়নস ট্রফি অভিষেকে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় বাংলাদেশি, সব মিলিয়ে নবম।

ক্রিফোস্পোর্টস/২০ফেব্রুয়ারি২৫/এজে

Crifosports announcement
Click to comment

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Focus

More in ক্রিকেট