
সেই ১৯৯৮ সালের প্রথম আসরে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালের মুখ দেখেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর কেটে গেছে ২৭টি বছর। এবার আবারও সুযোগ এসেছিল ফাইনালে ওঠার। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের কাছে ধরাশায়ী হয়ে বিদায় নিয়েছে প্রোটিয়ারা। আর ২০০৯ সালের পর আবারও ফাইনালে উঠেছে নিউজিল্যান্ড।
চোকার্স তমকা থেকে বের হতে না পারা দক্ষিণ আফ্রিকা আজ হেরেছে ৫০ রানের ব্যবধানে। ৩৬৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে মিলারের কল্যাণে ৩১২ রানে শেষ হয়েছে প্রোটিয়াদের ইনিংস।

২০০৯ সালের পর আবারও চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে উঠেছে নিউজিল্যান্ড।
চলমান চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আগে ব্যাটিং করে রেকর্ড ৩৬২ রান তুলেছিল কিউইরা। রাচিন রবীন্দ্র ও কেন উইলিয়ামসনের জোড়া সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড় গড়ে ব্ল্যাকক্যাপসরা। এই স্কোরকে আর বড় করে তোলে ড্যারিল মিচেল ও গ্লেন ফিলিপসের ঝড়ো ইনিংস।
আরও পড়ুন:
» বিসিবির প্রস্তাবিত চুক্তিতে ২২ জন, ৫ ক্যাটাগরিতে আছেন কারা?
» পাকিস্তানের মাটি থেকে সরে গেল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল
রাচিন ১০১ বলে ১০৮, উইলিয়ামসন ৯৪ বলে ১০২ রান করেন। এছাড়া মিচেল৩৭ বলে ৪৯ ও ফিলিপস ২৭ বলে অপরাজিত ৪৯ রান করেন। প্রোটিয়াদের হয়ে লুঙ্গি এনগিদি ৩টি ও কাগিসো রাবাদা দুটি উইকেট নেন।
নিউজিল্যান্ডের ছুড়ে দেওয়া ৩৬২ রান টপকাতে গিয়ে শুরুতে হিমশিম খেয়েছে টেম্বা বাভুমার দল। ভ্যান ডার ডুসেনকে নিয়ে দলনায়ক বাভুমার ১০৫ রানের জুটি ছাড়া আর তেমন প্রতিরোধ গড়তে পারেনি কেউই। দলের হয়ে বাভুমা ৭১ বলে ৫৬ এবং ভ্যান ডার ডুসেন ৬৬ বলে ৬৯ রান করেন।

২৭ বছরের আক্ষেপ ঘোচাতে পারলেন না টেম্বা বাভুমাও।
এর বাইরে এইডেন মার্করাম ৩১ ও শেষদিকে হাল ধরে থাকা ডেভিড মিলার সেঞ্চুরি করে দলের হারের ব্যবধান কমান। এর মাঝে ঝড়ো ইনিংস খেলে নিউজিল্যান্ডের ভক্তদের মনে ভয় ধরিয়ে দেন ডেভিড মিলার।
লোয়ার অর্ডারে রাবাদার সাথে ৩৮ ও এনগিদির সাথে ২৭ বলে ৫৬ রানের ঝড়ো জুটি গড়েন। নিজে সমানে ব্যাট চালিয়ে ৬৭ বলে বরাবর ১০০ রানের ক্যামিও খেলেন কিলার মিলার! কিউইদের হয়ে বল হাতে মিচেল স্যান্টনার ৩টি, হেনরি ও ফিলিপস দুটি করে উইকেট নেন।

৬৭ বলে ১০০ রানের স্মরণীয় ইনিংস খেলেন মিলার।
আগামী ৯ মার্চ রবিবার দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে মিচেল স্যান্টনারের দল। এর আগে অস্ট্রেলিয়াকে বিদায় করে প্রথম দল হিসেবে ফাইনালে ওঠে ভারত।
ক্রিফোস্পোর্টস/৫মার্চ২৫/এজে
