
আরও একবার নারীদের আইপিএলে ফাইনালে হারলো দিল্লি ক্যাপিট্যালস। আরও একবার শিরোপা বঞ্চিত ভারতের রাজধানীর দলটি। অন্যদিকে আবারও শিরোপা উঁচিয়ে ঘরে ফিরলো মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। শনিবার রাতের জমজমাট ফাইনালে দিল্লিকে ৮ রানে হারিয়েছে হারমানপ্রীতরা। মুম্বাইয়ে ১৪৯ রানের জবাবে দিল্লি ১৪১ রানে থেমে গেছে।
ফাইনালে ম্যাচের বাইরে আরেক লড়াই ছিল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দুই সুপারস্টার সৌরভ গাঙ্গুলি ও ঝুলন গোস্বামীর মধ্যে। সৌরভ দিল্লির ডিরেক্টর আর ঝুলন মুম্বাইয়ের বোলিং কোচ। এই দুজনের লড়াইয়ে হেরেছেন সৌরভ। আর শেষ হাসি ঝুলনের মুখে। প্রথম আসরের পর আবার চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।

দল জিতেছে শিরোপা, তাই তো হারমানপ্রীত এতো খুশি!
মুম্বাইয়ের ব্র্যাবোর্ন স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নেন নারী ক্রিকেটের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক ম্যাগ ল্যানিং। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি মুম্বাইয়ের। মারিজেন কাপের বোলিংয়ে ১৪ রানের মধ্যে সাজঘরে ফেরেন দুই ওপেনার ম্যাথুজ ও ভাটিয়া। তবে এরপরই হাল ধরে দলকে বাঁচান অভিজ্ঞ শিভার-ব্রান্ট ও অধিনায়ক হারমানপ্রীত।
আরও পড়ুন:
» পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড টি-টোয়েন্টিসহ আজকের খেলা (১৬ মার্চ ২৫)
» পিএসএলের জন্য এখনও বিসিবিতে দরখাস্ত দেননি লিটন-নাহিদ-রিশাদ
দেখেশুণে খেলার পরে হাত খুলে খেলে মাত্র ৩৩ বলে নিজের অর্ধশতরান করেন হারমানপ্রীত। অন্যদিকে উইকেট ধরে রেখেছিলেন শিভার-ব্রান্ট। এ মৌসুমে ৫ শতাধিক রান করেছেন এই ইংলিশ ব্যাটার। পাওয়ার প্লে-র পরের আট ওভারে আরও ৭২ রান করে এই জুটি। নাল্লাপুরেড্ডি চারানির ঘূর্ণিতে ৩০ রান করে আউট হন শিভার। এই জুটি ভাঙার পর বাকিরা আসা-যাওয়ায় ব্যস্ত হন।

টানা তিনবার ফাইনালে উঠে প্রতিবারই হারলো দিল্লি
হারমানপ্রীতের উপর চাপ বাড়ায় রানের চাকা ঘোরাতে উড়িয়ে মারতে যান। আর অ্যানাবেল সাদারল্যান্ডের বলে বড় শট মারতে গিয়ে ৬৬ রানে আউট হন অধিনায়ক। নীচের সারির ব্যাটারেরা কোনও রকমে দলের রান ১৪৯ পর্যন্ত নিয়ে যান। ১৫০ করতে পারলেই শিরোপা জিততে পারতো দিল্লি।
তবে ছোট লক্ষ্যও পূরণ করতে পারেনি দিল্লি ক্যাপিট্যালস। দলের হাল ধরে রাখা ব্যাটার ম্যাগ ল্যানিং ১৩ রানের মাথায় শিভার-ব্রান্টের বলে বোল্ড হন। ৪ রানের মাথায় আউট হন শেফালিও। এক দিকে ইনিংস গড়ার চেষ্টা করছিলেন জেমাইমা রদ্রিগেজ। কিন্তু কেরের স্পিনে ৩০ রানের মাথায় আউট হন তিনিও।

৫২৩ রান ও ১২ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্ট সেরা শিভার-ব্রান্ট
এই ম্যাচ জিততে দিল্লির একটি বড় জুটি দরকার ছিল। কিন্তু শুরুতে তা হয়নি। পরে মারিজানা কাপ একটু চেষ্টা করেন। এমনকি ওই ইনিংসের ১৭তম ওভারে মনে হচ্ছিলো ম্যাচ দিল্লি জিতে যাবে।১৭তম ওভারে সাইকার বলে ১৭ রান নেন কাপ। কিন্তু সেই শিভারের বলে কাপ ফিরে যাওয়ায় সেই আশা ফিঁকে হয়ে যায়।
কাপকে ৪০ রানে ফেরানোর পর পরের বলেই শিভার আউট করলেন শিখা পাণ্ডেকে। এক প্রান্তে নিকি প্রসাদ ২৫ রানে অপরাজিত থেকে দলের হারই দেখলেন। আর ব্যাটে-বলে সমান দাপট দেখিয়ে মুম্বাইকে শিরোপা পাইয়ে দিলেন শিভার। ৫২৩ রান ও ১২ উইকেট নিয়ে তিনিই হন টুর্নামেন্ট সেরা।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৬মার্চ২৫/এজে
