
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেটে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডানকে হারিয়ে শিরোপা জয় করেছে আবাহনী লিমিটেড। আজ মিরপুরে অলিখিত ‘ফাইনাল’ জিতল আবাহনী। ১৬ ম্যাচ শেষে ১৪ জয়ে মোট ২৮ পয়েন্ট পেয়ে শিরোপা উদযাপনে মেতেঠে মোসাদ্দেক হোসেনের আবাহনী দল।
এ নিয়ে ২৪ বারের মতো তারা ডিপিএল চ্যাম্পিয়ন। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো, অর্থাৎ হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেড।সুপার লিগের শেষ রাউন্ডের ম্যাচটি যেন পরিণত হয়েছিল ফাইনালে। রোমাঞ্চকর সেই লড়াইয়ে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে হারিয়ে শিরোপা ধরে রাখল আবাহনী।
নিষেধাজ্ঞার কারণে মোহামেডানের অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয় ছিলেন না একাদশে। রনি তালুকদারের নেতৃত্বে খেলতে নেমে আবাহনীকে ২৪১ রানের লক্ষ্য দেয় মোহামেডান। টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করা মোহামেডানের দুই ওপেনার রনি ও তৌফিক খান তুষার দুর্দান্ত শুরু করলেও ১৬ রানের ব্যবধানে ফিরে যান।
আরও পড়ুন
» আবাহনী-বসুন্ধরার ১৫ মিনিটের ফাইনাল আজ
» চট্টগ্রাম টেস্ট : চালকের আসনে বাংলাদেশ
এক পর্যায়ে, ৩০ ওভারে ৪ উইকেটে ১২৪ রানে পরিণত হয় মোহামেডান। এরপর পঞ্চম উইকেটে ৯০ রানের জুটি গড়েন মাহমুদউল্লাহ ও আরিফুল ইসলাম। দুজনেই ফিফটি করেন। ৪৬তম ওভারের শেষ বলে মাহমুদউল্লাকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন মোসাদ্দেক। ৬২ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৫০ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। শেষদিকে রান বাড়াতে না পারায় ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৪০ এ থামে মোহামেডান।
দল জেতানোর পথে আবাহনীর হয়ে এদিন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ইমন ২৮ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলেও ফিফটি তুলে নেন জিশান আলম। এর মাঝেই উইকেট হারান ১০ রানে থাকা এসএম মেহেরবও। নাসুমের শিকার হওয়ার আগে ৫৩ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় করেন ৫৫ রান জিশান।
দলীয় ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারানো আবাহনীকে এরপর জয়ের পথে নিয়ে যান মিঠুন আর মোসাদ্দেক। মিঠুনের পর ফিফটির দেখা পান অধিনায়ক মোসাদ্দেকও। এ জুটির দাপটের দিনে আর কোনো সুযোগই তৈরি করতে পারেনি মোহামেডানের বোলাররা। মিঠুন ৬৬ ও মোসাদ্দেক ৭৮ রানে অপরাজিত থেকে দল জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৯এপ্রিল২৫/এজে
