ঘরের মাঠে অনেকটাই অপ্রতিরোধ্য ভারত। কানপুরের মাটিতে আরও বেশি শক্তিশালী তারা। টিম ইন্ডিয়ার অতীত রেকর্ড এমনটাই বলছে। কানপুরের গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামে ২৩ টেস্টে ৭ জয়ের বিপরীতে হার ৩টি, বাকী ১৩ ম্যাচ ড্র হয়েছে।
কানপুরের গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামে ৪১ বছর ধরে কোনো হারের মুখ দেখেনি ভারত। সর্বশেষ ১৯৮৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হেরেছিল তারা। এরপর থেকেই অপরাজিত দলটি। তবে বাংলাদেশের সামনে এই ইতিহাস পাল্টে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
আগামী শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) কানপুরে দ্বিতীয় টেস্টে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ভারত। ইতোমধ্যে ১-০ তে এগিয়ে ভারত। এই টেস্টে জয় পেলেই সিরিজে সমতা ফেরাতে পারবে বাংলাদেশ। তাছাড়া এই টেস্ট দিয়েই কানপুরের মাটিতে ভারতের ৪১ বছরের ইতিহাস পাল্টে দিতে পারবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
আরও পড়ুন:
» বাংলাদেশ-ভারতের ম্যাচ বাতিলের দাবিতে হিন্দু মহাসভার কর্মসূচি
» উত্তরবঙ্গের মানুষের আকর্ষণ বাড়াতে বিপিএলে আসছে ‘দুর্বার রাজশাহী’
যদিও কাজটা মোটেও সহজ হবে না বাংলাদেশের জন্য। পাকিস্তানকে তাদের ঘরের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ করা বাংলাদেশ চেন্নাই টেস্টে মুখ থুবড়ে পড়েছে। স্বাগতিকদের বিপক্ষে ২৮০ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে তারা। তাছাড়া ভারতের বিপক্ষে ১৪ টেস্ট খেলে এখনো জয়ের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। এ থেকেই দুই দলের শক্তিমত্তার পার্থক্য স্পষ্ট হয়ে যায়।
তবুও কানপুর টেস্টে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। রোহিত শর্মাদের হারিয়ে সিরিজের সমতা ফেরাতে চায় নাজমুল হোসেন শান্তরা।
এদিকে কানপুর টেস্টে উইকেটেও ভিন্নতা আসতে যাচ্ছে। চেন্নাই টেস্টে লাল মাটির পিচে খেলা হলেও কানপুর টেস্টে কালো মাটির পিচ দেখা যাবে। এ ধরনের উইকেটে পেসারদের চেয়ে স্পিনাররাই বেশি সুবিধা পাবে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের একাদশে পরিবর্তন আসার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৪সেপ্টেম্বর২৪/বিটি