দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের রান তাড়া করার মাঝেও হয়তো কেও সেভাবে ভাবতে পারেনি ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত জিতে নিবে ভারত। তবে অবিশ্বাস্য ভাবে সেই কাজটিই করে দেখালো রোহিত শর্মার দল। ১১৯ রান স্কোরবোর্ডে জমা করেও সেটি ডিফেন্ড করেছে ভারত। ৬ রানে হেরে পাকিস্তানের বিশ্বকাপ যাত্রা অনেকটাই শেষের দ্বারপ্রান্তে।
গতকাল ৯ জুন নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের সব থেকে হাইভোল্টেজ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-পাকিস্তান। বহুল আকাঙ্ক্ষিত ম্যাচের শুরুতে একাধিকবার দেখা দিয়েছিল বৃষ্টির বাধা। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ গড়িয়েছে মাঠে এবং লজ্জায় পুড়েছে পাকিস্তান।
এদিন টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু করেছিল ভারত। প্রথম ১০ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে ৮১ রান করেছিল রোহিত শর্মার দল। তবে এরপরই হয় ছন্দ পতন। নিয়মিত উইকেট হারিয়ে ১৯ ওভার পর্যন্ত আর মাত্র ৩৮ রান যোগ করতেই অলআউট হয়ে যায় ভারত। পাকিস্তানের হয়ে ৩টি করে উইকেট শিকার করেছেন নাসিম শাহ ও হারিস রউফ।
ছোট লক্ষ্যে বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বারের মতো ভারতকে হারানোর সুযোগ পায় পাকিস্তান। তবে এই রান টপকাতে গিয়েও নাস্তানাবুদ হয়েছে বাবর-রিজওয়ানরা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১১৩ রান তুলতে পারে পাকিস্তান। এতে করে বিশ্বকাপে আট বারের দেখায় সাত বারই পরাজিত হলো ম্যান ইন গ্রীন।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে এদিনও দলের হাল ধরতে পারেননি পাক অধিনায়ক বাবর আজম। উসমান খান এবং ফখর জমানও হতে পারেননি ভরসার নাম। তিন জনই আউট হয়েছেন সমান ১৩ রান করে। ইমাদ ওয়াসিম, শাদাব খান এবং ইফতেখার আহমেদও ব্যর্থ হয়েছেন এদিন।
উইকেটের এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মোহাম্মদ রেজওয়ান। ৪৪ বলে তিনি খেলেন ৩১ রানের একটি ইনিংস। শেষ দুই ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ২১ রান। ১৯তম ওভারে বুমরাহ দেন মাত্র ৩। এতে শেষ ৬ বলে তাদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৮ রানে। তবে শেষ ওভারে ২৩ বলে ১৫ রান করা ইমাদ আউট হলে সেই ওভারে আর ১০ রান তুলতে পারে পাকিস্তান।
পাকিস্তানি ব্যাটারদের ধীরগতির ব্যাটিংয়ে ২০ ওভার পুরোপুরি খেলেও ছোট লক্ষ্য পূরণ করতে পারেনি তারা। শেষ পর্যন্ত ৬ রানের জয় পায় ভারত। বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হেরে আসর থেকে অনেকটাই ছিটকে গেল সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। এদিকে ‘এ’ গ্রুপে টানা দুই জয়ে ভারতের সঙ্গে এগিয়ে আছে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন: প্রোটিয়াদের বিপক্ষে প্রথম জয়ের খোঁজে কাল মাঠে নামছে বাংলাদেশ
ক্রিফোস্পোর্টস/১০জুন২৪/এফএএস