ভারত বিশ্বকাপটা রূপকথার মতো কেটেছে আফগানিস্তানের। একের পর এক রেকর্ডের জন্ম দিয়ে উড়ছিল আফগানরা। তবে শেষ পর্যন্ত সেমির স্বপ্ন ভঙ্গের আফসোস নিয়েই বিশ্বকাপ যাত্রা শেষ করতে হলো আফগানদের।
আফগানিস্তানের সেমির স্বপ্নটা প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার সাথে হেরেই। কেননা শেষ ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে যেতে হলে অনেক কঠিন কঠিন সমীকরণ মেলাতে হতো রশিদ-মুজিবদের। তবে শেষ ম্যাচে এসে সেই হারই সঙ্গী হল আফগানিস্তানের।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং এর সিদ্ধান্ত নেয় আফগানিস্তান। আফগানিস্তান শুরুটা দুর্দান্ত করলেও প্রথম উইকেট পতনের পরই ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয় তারা। একপাশে আজমতুল্লাহ ওমরজাই প্রতিরোধ গড়ে তুললেও অন্য পাশে একের পর এক উইকেটের পতন হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ওমরজাইয়ের অপরাজিত ৯৭ রানে ভর করে নির্ধারিত ওভার শেষে ২৪৪ রান সংগ্রহ করে আফগানরা।
২৪৫ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা মারকুটে ভঙ্গিতেই করে দুই প্রোটিয়া ওপেনার ডি কক ও বাভুমা। নির্ধারিত লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত ৫ টি উইকেট হারায় তারা। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ভ্যান ডার ডুসেনের অপরাজিত ৭৬ রানে ভর করে ১৫ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে সহজ জয় তুলে নেয় টেম্বা বাভুমার দল।
আফগানদের হয়ে ২ টি করে উইকেট নেন রশিদ খান ও মোহাম্মদ নবি। অপরদিকে প্রোটিয়াদের হয়ে কটজে ৪ টি এবং লুঙ্গি এনগিডি ও কেশব মহারাজ ২ টি করে উইকেট নেন।
আফগানিস্তান তাদের সেমির স্বপ্ন পূরণ করতে না পারলেও এই বিশ্বকাপ থেকে অনেক কিছু অর্জন করেছে। আফগানিস্তানের ইতিহাসে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ (৪) জয়ের রেকর্ড গড়েছে তারা। এই বিশ্বকাপের ‘ডার্ক হর্স’ বলেও অভিহিত করা হয়েছে আফগানিস্তানকে।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার সদস্যপদ স্থগিত করেছে আইসিসি
ক্রিফোস্পোর্টস/১০নভেম্বর২৩/এমটি