বিশ্বকাপ ব্যর্থতার দায় মাথায় নিয়ে আসর থেকে বিদায়ের পরই পাকিস্তানের তিন সংস্করণ থেকে স্বেচ্ছায় অধিনায়কত্ব থেকে ইস্তফা দেন বাবর আজম। তার জায়গায় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব দেন শান মাসুদের কাঁধে এবং টি-টোয়েন্টির দায়িত্ব ভার দেয়া হয় শাহীন শাহ আফ্রিদির ওপর।
অধিনায়ক হিসেবে ইতোমধ্যেই শান মাসুদের পরীক্ষা শুরু হয়ে গেছে। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে যে মাসুদ বেশ চাপে আছেন তা অনুমেয়ই। তবে জাতীয় দলে এখনো টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়কত্বের অভিষেক ঘটেনি পেসার শাহীন শাহ আফ্রিদির। তবে এই শাহীনকেই এবার অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেয়ার কথা বললেন সাবেক পাকিস্তানি তারকা অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি। শহীদ আফ্রিদি সম্পর্কে শাহীনের শ্বশুরও হন বটে।
পাকিস্তানের সাবেক এই তারকা অলরাউন্ডারের টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়ক হিসেবে বেশি পছন্দ মোহাম্মদ রিজওয়ানকে। আফ্রিদি বলেন, ‘রিজওয়ানের ক্রিকেটের প্রতি যে মনোযোগ এবং পরিশ্রম সেটাকে আমি সমীহ করি। ওর সবচাইতে বড় গুণ হলো সে তার খেলার প্রতি সব সময় ফোকাসড থাকে, বাকিরা কে কি বলছে বা কি করছে সেদিকে সে মনোযোগ দেয় না। রিজওয়ানের মধ্যে আমি সত্যিকারের লড়াকু ক্রিকেটারের ছাপ দেখতে পাই। আমি শাহীনকে নয় রিজওয়াকেই অধিনায়ক হিসেবে দেখতে চেয়েছিলাম।’
বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় আছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি। সেখানে আফ্রিদি ফাউন্ডেশনের আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে মোহাম্মদ রিজওয়ান, শাহীন শাহ আফ্রিদিসহ আরও কয়েকজন পাকিস্তান জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা উপস্থিত ছিলেন। মেয়ের জামাই শাহীনের সামনেই কথাগুলো বলে দেন শ্বশুর আফ্রিদি। কথাগুলো শুনে শাহীনও হাসতে থাকেন।
বিষয়টি মজার ছলে ঘটলেও পাকিস্তানের অনেক সমর্থকই এটি ভালভাবে নেননি। তাদের মত, আফ্রিদির মত একজন কিংবদন্তি ক্রিকেটার কথাগুলো এভাবে কেন বলবেন? এতে কি দলের সংহতি বজায় থাকবে? শাহীন তো এখনো একটি ম্যাচেও অধিনায়কত্ব করেননি, তাহলে তার অধিনায়কত্ব নিয়ে কি প্রশ্ন তোলাটা ঠিক হয়েছে?
পিএসএলের টিম লাহোর কালান্দার্স এর আগে শাহীনের নেতৃত্বে টানা দু’বার শিরোপা জিতেছে। সুতরাং ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে শাহীনের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোন অবকাশ নেই। এখন শাহীনের আসল পরীক্ষা পাকিস্তানের হয়ে অধিনায়ক হিসেবে তিনি কতটা সফল হতে পারেন।
আরও পড়ুন: টেস্টের পর ওয়ানডে থেকেও অবসরের ঘোষণা দিলেন ওয়ার্নার
ক্রিফোস্পোর্টস/০১জানুয়ারি২৪/এমএস/এমটি