সেই ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টেস্ট জিতেছিল বাংলাদেশ। শুধু জয় নয়—২-০তে সিরিজটাও জিতে নিয়েছিল তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা। আর এটি ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বিদেশের মাটিতে প্রথম কোনো সিরিজ জয়ের গল্প। এরপর দীর্ঘ ১৫ বছর কেটে গেছে, এর মধ্যে ৭টি টেস্ট খেলেছিল দুদল। দীর্ঘ এই সময়ে সাফল্য ছুঁতে না পারা বাংলাদেশ ২০২৪ সালের পড়ন্ত বছরে এসে ১৫ বছরের অপেক্ষা ঘুচালো।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে আনন্দময় ভোর কাটালো মেহেদী হাসান মিরাজের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। কিংস্টনে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ক্যারিবীয়দের ১০১ রানে হারিয়েছে টাইগাররা। এই জয়ে ১-১ সমতায় টেস্ট সিরিজের ইতি টানলো দুদল।
অ্যান্টিগা টেস্টে ২০১ রানের বড় ব্যবধানের হারের পর দ্বিতীয় টেস্টে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। জ্যামাইকায় কিংস্টনে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৬৪ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ। মাত্র ১৬৪ রানে অল আউট হওয়া রেড-গ্রিন শিবির নাহিদ রানার দুর্দান্ত স্পেলে ভর করে আশার আলো দেখতে শুরু করে।
আরও পড়ুন :
» ৩ রানে ৫ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানি স্পিনারের ইতিহাস
» নাটকীয়তার ম্যাচে অল্পের জন্য হার, তবুও সেমিতে বাংলাদেশ
» চমক রেখে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দল ঘোষণা
বাংলাদেশের নতুন এই স্পিড স্টার এক ইনিংসে তুলে নিয়েছেন ৫ উইকেট। আর এতে ১৪৬ রানে গুটিয়ে যায় টিম ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৮ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে অলআউট হন মিরাজরা। জাকের আলির ৯১ রানে ভর করে দলের পুঁজি তখন ২৮৬।
২৮৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নামা ক্রেইগ ব্রাফেটদের চেপে ধরেন তাইজুল-তাসকিন। তাইজুলের ঘূর্ণিতে ৫০ ওভারে ১৮৫ রানেই থামে ক্যারিবিয়ানদের রানের চাকা। ইনিংসে তাইজুল নেন ৫ উইকেট। এ ছাড়া তাসকিন ও হাসান মাহমুদ ২টি করে উইকেট শিকার করেছেন।
এই মাঠে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ছিল ২১১ রান। যা ২০০৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে করেছিল স্বাগতিকেরা। সেই রান পার করে স্কোরবোর্ডে ২৮৬ যোগ করে বাংলাদেশ। এতে রেকর্ড গড়েই জয় পেল টিম বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ : প্রথম ইনিংস— ১৬৪/১০, ২৬৮/১০
ওয়েস্ট ইন্ডিজ : প্রথম ইনিংস— ১৪৬/১০, ১৮৫/১০
ফলাফল : বাংলাদেশ ১০১ রানে জয়ী।
সিরিজ : দুই ম্যাচ সিরিজ ১-১ সমতা।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : তাইজুল ইসলাম।
প্লেয়ার্স অব দ্য সিরিজ : তাসকিন আহমেদ ও জেইডেন সিলস।
ক্রিফোস্পোর্টস/৪ডিসেম্বর২৪/এসএ