গতকাল সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে লো স্কোরিং ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতায় টানা চতুর্থ পরাজয় দেখেছে দুর্দান্ত ঢাকা। তবে স্রোতের বিপরীতে গিয়ে শেষ সময়ে চমৎকার ব্যাটিং প্রদর্শন করেন তাসকিন আহমেদ। নয় নম্বরে নেমে ১১ বলে খেলেছেন ২৭ রানের অপরাজিত বিধ্বংসী একটি ইনিংস।
এই ম্যাচে মাঠে নেমে তাসকিন সিলেটের বোলারদের যেভাবে পেটাচ্ছিলেন, সেটা দেখলে মনে হতে পারে সতীর্থ ব্যাটারদের ব্যর্থতায় রাগ থেকে মারছেন তিনি। এর আগে বল হাতেও ভালো করেছিলেন তাসকিন। ওভার প্রতি পাঁচের নিচে রান দিয়ে পেয়েছেন ১ উইকেট। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তাসকিন আসেন ঢাকার প্রতিনিধি হয়ে।
সংবাদ সম্মেলনে তাসকিনকে প্রশ্ন করা হয় ব্যাটারদের ওপর রাগ থেকেই ব্যাটিংয়ে এমন আগ্রাসী হয়েছিলেন কিনা তিনি। এমন প্রশ্নে হাসি দিয়ে তাসকিন বলেন, ‘না, না! রাগ করে মারছিলাম না। তা করলে তো বল ব্যাটেও লাগবে না। ব্যাটারদের ওপর রাগ করব কেন (হাসি)। ওরা তো আমাদের সতীর্থ।’
তাসকিন বল হাতে দ্যুতি ছড়ানোর পাশাপাশি শেষ মুহূর্তে ব্যাটিংয়ে নেমেও হতে চান ভরসার নাম। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি আসলে অনুশীলন করেছি। আগেও অনেকবার বলেছি, ভালো টেল-এন্ডার ব্যাটার হতে চাই। নিয়মিতই অনুশীলন করছিলাম। নিজের ভিত্তি ঠিক রেখে বল অনুযায়ী কানেক্ট করার চেষ্টা করছিলাম।’
তবে এমন ইনিংস খেলার পর নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে তাসকিন বলেন, ‘আসলে এরকম দুই একটা ইনিংস হলে নিজেরও একটু ভালো লাগে। এখনো অনেক কিছু ইমপ্রুভ করা বাকি। আমরা টেল-এন্ডাররা যদি উন্নতি করি, এটা আমাদের অনেকগুলো ক্লোজ ম্যাচ জিতিয়ে দেয়ার এবিলিটি রাখে।’
নিজের ব্যক্তিগত উন্নতি নিয়ে তিনি জানান, ‘মাঝেমধ্যে যখন এমন হয়, তখন মনে হয় বাড়তি যে অনুশীলন করছি, পরিশ্রম করছি, তার ফল হয়তো পেতে শুরু করেছি। সামনে আমাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে। তো একটু মেহনত করলে হয়তো ভালো টেল-এন্ডার হওয়া সম্ভব।’
তবে ম্যাচ হারার কারণে হতাশার কথাও বলেন, ‘হ্যাঁ একটু হতাশই। লো স্কোরিং ম্যাচও আমরা তাড়া করতে পারিনি। অবশ্যই তাড়া করা উচিৎ ছিল। আমি নিশ্চিত, আমাদের দলের ব্যাটাররাও হতাশ। দিনশেষে আসলে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট, সবার ক্যারিয়ারেরও বিষয়। অবশ্যই এটা ভালো অনুভূতি নয়।’
আরও পড়ুন: পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে মার্চে বাংলাদেশ আসছে শ্রীলঙ্কা
ক্রিফোস্পোর্টস/৩ফেব্রুয়ারি২৪/এফএএস