ইন্দোনেশিয়ায় সদ্য সমাপ্ত অনুর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ জয়ের লক্ষ্য নিয়ে আসর শুরু করা আর্জেন্টিনার বিদায় ঘন্টা বেজেছে সেমিফাইনালেই। সেমিতে জার্মানির কাছে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে হারতে হয় লিও মেসির উত্তরসূরীদের। পরে আসরের চতুর্থ স্থানে থেকে বিশ্বকাপ শেষ করতে হয় আর্জেন্টিনার যুবাদের। যদিও একেবারে শেষ হাতে বাড়ি ফিরতে হলো না আর্জেন্টিনাকে। আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার জিতেছেন আর্জেন্টিনার ১৭ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড আগুস্তিন রুবের্তো।
তার আগে চির প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলকে হারিয়ে আসরের সেমিতে ওঠা আলবিসেলেস্তে যুবাদের টাইব্রেকারে হার মানতে হয় জার্মানির কাছে। পরে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচেও আফ্রিকান দেশ মালির কাছে তারা হেরে যায় ৩-০ গোলে। ফলে চতুর্থ স্থানে থেকেই বিশ্বকাপ শেষ করতে হয় দলটিকে। শেষমেশ আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড আগুস্তিন রুবের্তোর আসরে করা ৮ গোলের কল্যাণে ‘গোল্ডেন বুট’ পুরস্কার নিয়ে নিজ দেশে ফিরতে পারছে দলটি।
জার্মানির বিপক্ষে টাইব্রেকারে হারা ম্যাচটিতেও দলের হয়ে হ্যাট্রিক করেছিল ‘দ্য জায়ান্ট’ খ্যাত রুবের্তো। তার ৩ গোলের কল্যাণেই আলবিসেলেস্তেদের জয়ের আশা দীর্ঘক্ষণ ধরে বজায় ছিল। এই আসরসহ বয়সভিত্তিক ও মূল বিশ্বকাপ মিলে মোট ৭ বার গোল্ডেন বুট পুরস্কার জিতেছে আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা।
সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচেই সেনেগালের বিপক্ষে গোলের মাধ্যমে অভিষেক করেন রুবের্তো। পরে জাপান এবং পোল্যান্ডের বিপক্ষেও একটি করে গোল করেন ১৭ বছর বয়সী এই আর্জেন্টাইন। ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে জোড়া গোলের পর ব্রাজিলের বিপক্ষে গোল শূণ্য থাকলেও সেমিতে জার্মানদের বিপক্ষে করেন অনবদ্য এক হ্যাট্রিক। যদিও শেষমেশ টাইব্রেকারে হেরে যায় আর্জেন্টিনার যুবারা।
অনেকের কাছেই দ্য জায়ান্ট নামে পরিচিত রুবের্তোর আগে সবশেষ আর্জেন্টিনার বয়সভিত্তিক দলের হয়ে সার্জিও আগুয়েরো গোল্ডেন বুট জিতেছিলেন। বয়সভিত্তিক দলের হয়ে সর্বশেষ শিরোপাও সেবারই জিতেছিল দেশটি। সেরা খেলোয়াড় এবং সেরা গোলদাতা হয়েছিলেন আগুয়েরো (৬ গোল)। তার আগে ১৯৩০ বিশ্বকাপে সর্বপ্রথম বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন আর্জেন্টিনার গিলের্মো স্তাবিলে (৮ গোল)।
১৯৭৮ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে প্রথম বিশ্বকাপ জেতানো মারিও কেম্পেস আসরে ৬ গোল করে গোল্ডেন বুট জেতেন। পরের বছর অনুষ্ঠিত অনুর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে দেশটির হয়ে ৮ গোল করে গোল্ডেন বুট জেতেন রামন দিয়াজ। সেবার শিরোপাও ঘরে তোলে আলবিসেলেস্তেরা। এরপর ২০০১ এবং ২০০৫ সালের অনুর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ আসরে দুই আর্জেন্টাইন সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার জেতেন। ২০০১ এ হাভিয়ের সাভিওলা (১১ গোল) এবং ২০০৫ সালে লিওনেল মেসি (৬ গোল) ব্যক্তিগত পুরস্কারটি জিতে নেন। নেদারল্যান্ডসে অনুষ্ঠিত আসরটিতে মেসি সেরা প্লেয়ারও নির্বাচিত হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: অবাক করা নো বল, ভারতীয় বোলারকে ঘিরে সন্দেহ!
ক্রিফোস্পোর্টস/০৩ডিসেম্বর২৩/এমএস/এমটি