![Azmal sees Shakib's inability to bowl as unfairwl as unfair](https://www.crifosports.com/wp-content/webp-express/webp-images/uploads/2025/01/Azmal-sees-Shakibs-inability-to-bowl-as-unfairwl-as-unfair.jpg.webp)
আইসিসির বেঁধে দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী বোলিং নিয়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা থাকলে সেই বোলিংকে অবৈধ হিসেবে গণ্য করা হয়। এতে করে বোলারকে নিজের বোলিং অ্যাকশন ঠিক না করা পর্যন্ত থাকতে হয় আইসিসির নিষেধাজ্ঞায়। যেখান থেকে বাদ যায় না নামিদামি ক্রিকেটাররাও। সেই ধারাবাহিকতায় নিষেধাজ্ঞায় পড়তে হয়েছে বাংলার ক্রিকেটের রাজপুত্র সাকিব আল হাসানকেও। তবে সাকিবকে এমন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া মোটেও উচিত হয়নি বলে মনে করেন পাকিস্তানের লিজেন্ডারি স্পিনার সাঈদ আজমল।
খেলোয়াড়ি জীবনের সময় পেরিয়ে সাঈদ আজমল এখন নিজেকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন কোচিং পেশায়। তবে চলমান বিপিএল-২০২৫ এ ঢাকা ক্যাপিটালসের মেন্টর হিসেবে বাংলাদেশে এসেছেন পাকিস্তানের সাবেক এই স্পিনার। চলতি বিপিএলের সিলেট পর্বের জন্য সকল ফ্রাঞ্চাইজি এখন সিলেটে অবস্থান। আর সেখানেই গতকাল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সাঈদ। এসময় সাংবাদিকরা তাঁকে সাকিব আল হাসানের বোলিং নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রশ্ন করেন। তখন তিনি সাকিবের বোলিং নিষেধাজ্ঞাকে অন্যায় হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
সাঈদ আজমল বলেন, ‘এমন একজন পরীক্ষিত খেলোয়াড়কে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া চরম অন্যায়। সাকিব ১৭ বছর ধরে ক্রিকেট খেলছে তখন তো আর বোলিং অ্যাকশনে ত্রুটি ধরা পড়েনি। যদি ত্রুটিই থাকবে তাহলে ইংলিশ কাউন্টি ক্রিকেট ১৭ বছর পরে কেন তাঁর বোলিংয়ের খুঁত ধরলো। তবে সাকিবের যে মানের খেলোয়াড় এখান (নিষেধাজ্ঞা) থেকে বের হয়ে আসতে তাঁর ১৫ দিনই যথেষ্ট।’
আরও পড়ুন:
» ‘হাইব্রিড মডেল’ যেন আশীর্বাদ হয়ে ধরা দিল পাকিস্তানের জন্য
» ক্লাব ফুটবলে দলবদলের নতুন সিদ্ধান্ত বাফুফের
এ সময় আজমল আরও বলেন, ‘এমন সামান্য সমস্যা থেকে বের হওয়া সাকিবের জন্য খুবই সহজ। তিনি ক্যারিয়ার জুড়ে ৭০০-৮০০ উইকেট তুলে নিয়েছেন। ফলে তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে চিন্তার কিছু নেই।’
৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকেই নান জটিলতায় দেশে ফিরতে ব্যর্থ সাকিব। এদিকে চলমান বিপিএলের এই একাদশ আসরে সাকিবকে দলে ভিড়িয়েছিল চিটাগং কিংস। তবে সাকিব দেশে আসতে না পারায় তাঁকে ছাড়াই মাঠে নামতে হয়েছে বন্দরনগরীর দলটিকে।
এ বিষয়ে সাঈদ আজমল বলেন, ‘সাকিব আল হাসান বাংলাদেশের সুপারস্টার। তিনি নিজেকে সেরাদের কাতারে নিয়ে গেছেন। তবে সে কেন খেলতে পারছেন না সেটার কারণ আমার জানা নাই। তবে আমি মনে করি খেলার মধ্যে রাজনৈতিক বিষয় না জড়ানোয় ভালো। সাকিবকে খেলোয়াড় হিসেবেই বিবেচনা করা উচিত।’
সাকিব ইস্যু ছাড়াও তিনি চ্যাম্পিয়ন ট্রফি নিয়েও কথা বলেন। এসময় তিনি বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন ট্রফির আয়োজক পাকিস্তান। কিন্তু ভারত পাকিস্তান খেলতে যেতে চায় না। সেখানে নাকি হাইব্রিড মডেল চালু করা হয়েছে। আবার পরবর্তীতে পাকিস্তানও ভারতে খেলতে যাবে না। এগুলো ক্রিকেটের জন্য মোটেও ভালো নয়। খেলার ভিতরে রাজনীতিতে প্রবেশ করালে খেলার সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। আর এতে করে দর্শকরা বঞ্চিত হয়।’
প্রসঙ্গত যে, সাকিবের মতোই ২০১৪ সালে বোলিং অ্যাকশন বিড়ম্বনায় আইসিসির নিষেধাজ্ঞার শিকার হন পাকিস্তানের তারকা স্পিনার সাঈদ আজমল। এরপর বোলিং অ্যাকশন পরিবর্তন করে জাতীয় দলে ফিরলেও আগের সেই সহজাত বোলিংটা আর করতে পারতেন না। ফলে জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়ে কোচিং পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করেন তিনি।
ক্রিফোস্পোর্টস/৬জানুয়ারি২৫/এসআর/বিটি
![](https://www.crifosports.com/wp-content/webp-express/webp-images/uploads/2023/04/Crifosports-logo-2.png.webp)