প্রথম দিনের রেখে যাওয়া জায়গাই শেষ হলো বাংলাদেশ দলের ইনিংস। শেষ উইকেট হাতে নিয়ে দিন শুরু করেছিল টাইগাররা। তবে ইনিংসের প্রথম বলেই টিম সাউদির হাতে এলবিডব্লিউর শিকার হন শরীফুল ইসলাম। দ্বিতীয় দিনের শুরুতে কিছু রান যোগ করার প্রত্যাশা নিয়ে মাঠে নামলেও ৩১০ রানেই প্রথম ইনিংস শেষ করত হয়েছে টাইগারদের।
এতে করে সকালের শুরুতেই বল রেখে পুনরায় ব্যাট হাতে নামতে হয় কিউইদের। টম লাথাম ও ডেভন কনওয়ে ভালো সূচনার ইঙ্গিত দেন। তবে ১৩তম ওভারে বোলিংয়ে এসেই ওপেনিং জুটি ভাঙেন তাইজুল। ওভারের পঞ্চম বলে রিভার-সুইপ করতে গিয়ে নাঈম হাসানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন টম লাথাম।
কিউইদের দ্বিতীয় উইকেটটি তুলে নিতে বেশি দেরি করেনি টাইগার বোলাররা। ১৬তম ওভারে মিরাজের তৃতীয় বলে ডিফেন্স করতে গিয়ে ব্যাটে আউটসাইড এজ হয়ে ক্যাচ আউটের শিকার হন ডেভন কনওয়ে। রিপোর্ট করা পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ২ উইকেট হারিয়ে ২০ ওভারে ৬০ রান।
আগের দিন শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ দল। জাকির হোসেন আউট হলে নাজমুল হোসেন শান্ত ও মাহমুদুল হাসান জয়ের ওয়ানডে মেজাজের ব্যাটিংয়ে বড় পুঁজির আশা দেখতে থাকে বাংলাদেশ। তবে ব্যক্তিগত ৩৭ রানে সাজঘরে ফিরতে হয় টাইগার অধিনায়ক শান্তকে। নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির পথে ছুটতে থাকা জয়ও আউট হন ৮৬ রান করে।
এরপর মুশফিক ও সোহানের দ্রুত বিদায়ে কিছুটা ধাক্কা খায় বাংলাদেশ দল। তবে ছোট ছোট পার্টনারশিপে এগোতে থাকে দলের রান। দশম উইকেট জুটিতে শরীফুল ও তাইজুলের অবিচ্ছেদ্য ১৯ বলে ২০ রানের সুবাদে ৩০০ রানের ঘর টপকে যায় টিম টাইগার। প্রত্যাশা ছিল নতুন দিনে বাড়তি কিছু রান যোগ করার। তবে শরীফুলের আউটে সেখানেই থেমে যেতে হয় বাংলাদেশকে।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৬ রান এসেছে জয়ের ব্যাটে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সমান ৩৭ রান করেছেন নাজমুল শান্ত ও মুমিনুল হক। কিউইদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট পেয়েছেন গ্লেন ফিলিপস। দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন এজাজ প্যাটেল এবং কাইল জেমিসন। একটি করে উইকেট নিয়েছেন টিম সাউদি ও ইশ সোধি।
আরও পড়ুন: দ্য ম্যাক্সওয়েল শো, ম্যাচ হারল ভারত
ক্রিফোস্পোর্টস/২৯নভেম্বর২৩/এসএফ/এজে