বয়স পেরিয়েছে ৩৬। কিন্তু ব্যাটের ধার এখনো কমেনি। উইকেটের পেছনে বোলারদের উজ্জীবিত রাখাসহ বারবার দারুণ কিছু ক্যাচ নিয়ে দেখিয়েছেন নিজের সামর্থ্য। জাতীয় দলের বিপদ সামালও দিয়েছেন অনেকবার। কিন্তু ধীরে ধীরে বাড়ছে বয়সের ভার। অনেকে বলছেন কবে ফুরোবে এই আলো? নিজের কণ্ঠেই জানিয়েছেন টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের প্রেক্ষাপটের কথা।
বুধবার রাতে রংপুর রাইডার্সকে হারিয়ে বরিশালকে ফাইনালে ওঠানোর পর সংবাদ সম্মেলনে একের পর এক বোমা ফাটাচ্ছিলেন মুশফিকুর রহিম। যারা ফরচুন বরিশালকে ‘বুড়োদের দল’ বলেছেন, তাদের এক হাত নিয়েছেন এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। নিজের ফিটনেসকে যেকোনো তরুণ ক্রিকেটারের ফিটনেসের চেয়েও ভালো দাবি করেন মুশফিক। এমনকি তার কথায় বোঝা যায় তিনি স্বেচ্ছায় টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেননি।
বিপিএল নিয়ে প্রধান কোচ হাথুরুসিংহের মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন মুশফিক। তবে সংবাদ সম্মেলন কক্ষ থেকে মুশফিক বের হওয়ার পর মুশফিকের কাছে জানতে চাওয়া হয়, ‘টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে এখন আক্ষেপ করেন?’ উত্তরে মুখে চওড়া হাসি টেনে বেশ জোর দিয়ে মুশফিক পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দেন, ‘না! না! (অবসর নেওয়া নিয়ে) রিগ্রেট করি না। রিগ্রেট করার কী আছে? (হাসি)’
২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপের পর ২০ ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন মুশফিক। টেস্ট ও ওয়ানডেতে মনোযোগ দেওয়ার জন্যই টি-টোয়েন্টি থেকে সরে দাঁড়ান বলেন জানান মুশফিক। এরপর দুটি বিপিএল খেলে ফেলেছেন মুশফিক। দুটিতেই তিনি দুর্দান্ত।
অবসরের প্রশ্নে মুশফিক সোজাসপ্টা বলে দিলেন, এটা তো এখন ভালো খেলার পর বলছেন। আগে তো কেউ এটা বলেননি। আমি শুধু একটা প্রশ্ন করি, আমি কি টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছি নিজের ইচ্ছায়? এতটুকু শুধু বলার আছে।’
সাংবাদিকদের থেকে একটু দূরে গিয়ে মাথা ঘুরিয়ে মুশফিক আবার বললেন, যখন অবসর নিয়েছিলাম, তার আগের এক মাস একটু দেখে নিয়েন। আর কিছু বলার নেই।
ওই সময়ের অফফর্মের কারণে এশিয়া কাপের দলে মুশফিককে সুযোগ দেওয়া নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছিল। এ কারণেই ওই আসরের পর নিজেকে কুড়ি-বিশের ফরম্যাট থেকে সরিয়ে নেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
আরও পড়ুন: জাতীয় দলে একসঙ্গে ডাক পেলেন দুই ভাই সাদ ও তাজ উদ্দিন
ক্রিফোস্পোর্টস/২৯ফেব্রুয়ারি২৪/এজে