আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ-২০২৪-এর ট্রফি নিউজিল্যান্ডকে জেতাতে বড় ভূমিকা পালন করেন অ্যামেলিয়া কের। তিনি এবারের আসরের প্লেয়ার অব দ্য ফাইনাল হয়েছেন, হয়েছেন টুর্নামেন্ট সেরাও। এমন একজন গুণী তারকা খেলোয়াড় উঠে এসেছেন ক্রিকেটীয় পরিবার থেকে।
টুর্নামেন্ট সেরা এই অ্যামেলিয়া কেরের নানা ছিলেন নিউজিল্যান্ডের টেস্ট ক্রিকেটার, মা-বাবা খেলেছেন ঘরোয়া ক্রিকেট, বোন ছিলেন বিশ্বকাপের স্কোয়াডেই। ক্রিকেটীয় পরিবারেই জন্ম তার।
অ্যামেলিয়ার নানা ব্রুস মারে ১৯৬৮ থেকে ১৯৭১ সালের মধ্যে নিউজিল্যান্ডের হয়ে মোট ১৩টি টেস্ট খেলেছেন। ৫টি অর্ধশতরান-সহ ৫৯৮ রান করার পাশাপাশি ১টি ইনিংসে বল হাতে শিকার করেছেন ১টি উইকেট। ব্রুস খেলা ছাড়েন রবিবারেও খেলতে হয় বলে। মূলত রবিবার তিনি গির্জায় সময় কাটাতে চান এবং পরিবারের সঙ্গে থাকতে পছন্দ করেন।
আর পড়ুনঃ বাবাকে হারানোর পর ভারতীয় ক্রিকেটারকে পাশে পেলেন ফাতেমা
অ্যামেলিয়ার বাবা রবি কের ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতেন। ওয়েলিংটনের হয়ে ৭টি ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচ ও ৫২টি লিস্ট-এ ম্যাচে খেলেছেন তিনি। অ্যামেলিয়ার মা জোহানা মারে ওয়েলিংটনের মহিলা ক্রিকেট দলের হয়ে খেলেছেন। অ্যামেলিয়ার বোন জেস কেরও এবারের বিশ্বকাপে স্কোয়াডে আছেন। যদিও ফাইনাল ম্যাচ খেলা হয়নি তার। তবে বিশ্বচ্যাম্পিয়নের তকমা জুটেছে তাঁরও। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৩৪টি ওয়ান ডে ও ৩৬টি আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন জেস কের।
নিউজিল্যান্ডের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পিছনে ব্যাটে-বলে সব থেকে বড় অবদান রেখেছেন অ্যামেলিয়া কের। তিনি ব্যাট হাতে দলীয় সর্বোচ্চ ৩৮ বলে ৪৩ রান করার পাশাপাশি বল হাতে ৪ ওভার বল করে মাত্র ২৪ রানের বিনিময়ে শিকার করেছেন ৩টি । ফাইনালে সব থেকে বেশি রান ও সেরা বোলিং করার সুবাদে ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন এই অলরাউন্ডার।
এছাড়াও টুর্নামেন্ট সেরাও হয়েছেন তিনি। গোটা আসরে ১৩৫ রান সংগ্রহের পাশাপাশি পেয়েছেন ১৫ উইকেটও। নারী টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের আসরে সর্বোচ্চ ১৫টি উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়েছেন অ্যামেলিয়া। এছাড়াও তিনিই প্রথম ক্রিকেটার, যিনি একইসঙ্গে নারী টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের প্লেয়ার অব দ্য ফাইনাল ও প্লেয়ার অফ দ্য টুর্নামেন্টের পুরস্কার জেতার নজির গড়ছেন।
ক্রিফোস্পোর্টস/২১ অক্টোবর ২৪/এইচআই