ঘরের মাঠে বলিভিয়াকে গোল বানে ভাসিয়ে ৬-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে জিতেছে আর্জেন্টিনা। ৩৩৩ দিন পর নিজেদের মাঠে খেলতে নেমে ম্যাচটিকে স্মরণ করে রাখলেন লিওনেল মেসিরা। মেসিও ম্যাচটিকে রাঙিয়ে রাখলে দারুণভাবে। দীর্ঘদিন পর ঘরের মাঠে নেমেই করলেন হ্যাট্রিক।
এদিন ঘরের মাঠে আর্জেন্টিনা গোল উৎসবে মেতেছিল। গোটা ম্যাচে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন মেসির শিষ্যরা। মেসির হ্যাটট্রিক এবং দুই স্ট্রাইকার লাউতারো মার্তিনেজ এবং হুলিয়ান আলভারেজ গোলে প্রতিপক্ষকে রীতিমতো নাস্তানাবুদ করেছে আর্জেন্টিনা। আর বাকি গোলটা এসেছে আলভারেজের পরিবর্তে নামা থিয়াগো আলমাদার পা থেকে।
ম্যাচ শুরুর ১৯ মিনিটের মাথায় ১-০ গোলে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে নেন মেসি।
লাউতারো মার্তিনেজের পাস ধরে মেসির বা পায়ের ক্লিনিক্যাল ফিনিশে আসে ম্যাচের প্রথম গোল। এরপর দ্বিতীয় গোলটি আসে ম্যাচের ৪৩তম মিনিটে। লাউতারোর গোলে দুর্দান্ত গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে আর্জেন্টিনা।
প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে মাঝমাঠে ফ্রি-কিক পায় আর্জেন্টিনা। মেসির নেওয়া শটে ট্র্যাপ ভেঙেছিলেন হুলিয়ান আলভারেজ। বুক দিয়ে বল নামিয়ে জটলার মধ্যে ফিনিশ। ফলে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যান মেসিরা।
আরও পড়ুন: পেরুর জালে ব্রাজিলের গোল উৎসব
৫০তম মিনিটে এঞ্জো ফার্নান্দেজের ক্রসে বলিভিয়ান ডিফেন্ডারের ওপর লাফিয়ে ওঠে গোল করেন আর্জেন্টিনার নিকোলাস ওতামেন্ডি। তবে অফসাইডে ফাঁদে পা পড়ে যাই নিকোলাসের। ফলে গোলটি বাতিল হয়ে যাই। ৬৯ মিনিটে থিয়াগো আলমাদা গোলে হালি পূর্ণ করে আর্জেন্টিনা।
নির্ধারিত সময়ের প্রায় শেষের দিকে ৮৪ মিনিটে ম্যাচের দ্বিতীয় গোল করেন মেসি।
এজাকুয়েল পালাসিওসের অ্যাসিস্টে ডিবক্সের খানিক বাইরে থেকে বাম পায়ের বাঁকানো শট করেন আর্জেন্টাইন এ ফরওয়ার্ড। এই শট ঠেকানোর উপায় ছিল না বলিভিয়ান গোলকিপারের। ২ মিনিট পর আবারও মেসির চমক। ম্যাচের তৃতীয় গোলটি পেয়ে যান অন্যতম সেরা এই ফুটবলার। সে সাথে হ্যাট্রিক পূরণ হয় তার।
এই জয়ের পর বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে দক্ষিণ আমেরিকার অঞ্চলে ১০ ম্যাচ থেকে ২২ পয়েন্ট শীর্ষে অবস্থান করছে আর্জেন্টিনা। সমান ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে ৭ নম্বরে আছে বলিভিয়া। আন্তঃমহাদেশীয় প্লে-অফের জায়গা পাচ্ছে তারা।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৬ অক্টোবর ২৪/এইচআই