দলে একাধিক সদস্যের ইনজুরি। শুরুর একাদশে ছিলেন না একাধিক তারকা। তাই মাঠে আকাশী-নীলদের খেলায় এর প্রভাব ছিল স্পষ্ট। মিডফিল্ড আর আক্রমণভাগ দৃঢ় হলেও বিল্ডআপে কিছুটা ভুগতে হয়েছিল বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। প্রথমার্ধে ৭৬ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রেখেও কিছুটা মলিন ছিল আর্জেন্টির আক্রমণ। ৪৫ মিনিটে গোলবারে মাত্র একটি শট নিতে পেরেছিল মেসিরা।
চ্যাম্পিয়নদের সেই গোল খরা কেটে দ্বিতীয়ার্ধে। ডি-বক্সের ভেতর বল পেয়ে দারুণ এক এসিস্ট করেন লিওনেল মেসি। ইনফর্ম স্ট্রাইকার লাউতারো মার্টিনেজ শূন্যে ভেসে করেন দুর্দান্ত এক ভলি। আর এতেই ডেডলক ভাঙে আর্জেন্টিনার। ইনজুরি হানা দেওয়া দলটি নিয়ে ৫৫ মিনিটে কষ্টের একমাত্র গোলে জয় দিয়ে বছর শেষ করেন মেসিরা। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের চলতি বছরের শেষ ম্যাচে পেরুর বিপক্ষে ১-০ গোলে জয় পেয়েছে স্কালোনীর শীষ্যরা।
৫৫তম মিনিটে মেসির বাড়ানো বল বক্সের ভেতর পান মার্তিনেজ। শূন্যে ভেসে আসা বল দুর্দান্ত ভলি মেরে পেরুর জালে বল জড়ান তিনি।
এ গোলের মাধ্যমে এক অনন্য কীর্তি গড়লেন মেসিও। আন্তর্জাতিক ফুটবলে গোল বানানোর তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের কিংবদন্তি ল্যান্ডন ডনোভানের নামের পাশে জায়গা করে নিলেন তিনি। এতদিন সর্বোচ্চ ৫৮ গোল বানানোর রেকর্ডটি ছিল ল্যান্ডন ডনোভানের। এতদিন ব্রাজিলিয়ান তারকা ফুটবলার নেইমার জুনিয়রের সঙ্গে এই রেকর্ডটি ভাগাভাগি করে আসছিলেন মেসি। বছরের শেষ ম্যাচ ব্যক্তিগত প্রাপ্তিটা মন্দ না।
এ জয়ের ফলে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ১২ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ অবস্থান ধরে রাখলো আর্জেন্টিনা। এ তালিকার দ্বিতীয় স্থানে আছে উরুগুয়ে। ১২ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট তাদের।
ক্রিফোস্পোর্টস/২০ নভেম্বর ২৪/এইচআই