পৃথিবীর যে প্রান্তেই আকাশী-নীলদের খেলা হতো সেখানেই ছুটে যেতেন তিনি। নাম তার—কার্লোস পাসকুয়াল। তবে আলবিসেলেস্তদের কাছে তিনি ‘তুলা’। এ নামেই সবাই ডাকতেন তাকে। ১৯৭৪ বিশ্বকাপ থেকে দলের সঙ্গে তার ছুটে চলা—বয়সের ভার তাকে ক্লান্ত করতে পারেনি।
তবে সময়ের স্রোতে তিনিও ভেসে গেছেন। গ্যালারিতে আর্জেন্টিনার হয়ে আর গলা ফাটাতে দেখা যাবে না তাকে। তিনি তো মৃত্যুঞ্জয়ী নন; তাই মৃত্যুকে বরণ করেছেন। না ফেরার দেশে চলে গেছেন তুলা। নিজের জন্য নির্ধারিত ৮৩ বছর বয়স পূর্ণ করেছেন, রেখে গেছেন বর্ণিল স্মৃতি।
আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম ‘ক্লারিন’ এক খবরে জানিয়েছে, বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ৮৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন তুলা।
তার পরিবারের বরাতে জানা গেছে, চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি নিজ দেশের একটি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করান তুলা। তবে নিয়তি তাকে কোমায় টেনে নেয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলার পরিবার সবার কাছে দোয়া চেয়েছিল। শেষ পর্যন্ত সব মায়া ত্যাগ করেন তুলা।
এদিকে গতবার ফিফা দ্য বেস্ট পুরস্কারে ‘বেস্ট ফ্যান অ্যাওয়ার্ড’ জিতেছিল আর্জেন্টিনার সমর্থকেরা। সবার হয়ে সেই পুরস্কার গ্রহণ করেছিলেন কার্লোস পাসকুয়াল (তুলা)।
সেই মঞ্চে পুরস্কার হাতে তিনি বলেছিলেন, আর্জেন্টাইন হিসেবে আমি বেশ খুশি। প্রায় সব পুরস্কারই আমরা জয় করেছি। ১৯৭৪ বিশ্বকাপ থেকে আমি সব বিশ্বকাপ ও কোপা আমেরিকায় (গ্যালারিতে) ছিলাম। আমি গরিব কিন্তু পৃথিবীর প্রায় সব জায়গাতেই গিয়েছি। আমি অন্য সব সমর্থকের মতই একজন আর্জেন্টাইন ভক্ত।
আরও পড়ুন: জাপানে এসে মেসি-সুয়ারেজ মিলেও জেতাতে পারলো না মায়ামিকে
ক্রিফোস্পোর্টস/৮ফেব্রুয়ারি২৪/এসএ