Connect with us
ফুটবল

এশিয়ার ফুটবল মহাযজ্ঞ: সর্বোচ্চ শিরোপা যাদের ঘরে

Afc asian cup trophy and 2011 winner Japan
ছবির বা পাশে ২০১৯ আসরের শিরোপা এবং ডান পাশে সফলতম দল জাপান। ছবি- সংগৃহীত

এশিয়ান ফুটবলের সবচেয়ে বড় মহাযজ্ঞ এএফসি এশিয়ান কাপ। বিশ্বকাপের মতো প্রতি চার বছর পরপর মাঠে গড়ায় এশিয়ান ফুটবলের এই শ্রেষ্ঠত্বের আসর। টুর্নামেন্টকে ঘিরে গোটা এশিয়ান ফুটবল মিলিত হয় এক বিন্দুতে৷ ২০০৭ এশিয়ান কাপ থেকে ওশেনিয়ার দেশ অস্ট্রেলিয়াও যোগ দেয় এই টুর্নামেন্টে। ফলে পূর্বের চেয়ে টুর্নামেন্টের উত্তেজনা আরো কয়েকগুন বেড়ে যায়৷

এশিয়ান ফুটবলে যোগ দিয়ে এরই মধ্যে অস্ট্রেলিয়া ২০১১ এশিয়ান কাপের রানার্সআপ ও ২০১৫ এশিয়ান কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে৷ শুরুর দিকে রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে টুর্নামেন্টটি অনুষ্ঠিত হলেও বর্তমানে গ্রুপ পর্ব ও নক আউট পর্বের মাধ্যমে চলছে এশিয়ান ফুটবলের সবচেয়ে বড় এই আসর৷ 

যখন শুরু হয় এএফসি এশিয়ান ফাপ 

১৯৫৬ সালে হংকংয়ে অনুষ্ঠিত হয় এশিয়ান কাপের প্রথম আসর৷ প্রথম দুই আসরেই বাজিমাত করে দক্ষিণ কোরিয়া। এশিয়ার প্রথম কোনো দল হিসেবে টানা দুই আসরে এশিয়ান ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা ঘরে তোলে দক্ষিণ কোরিয়া৷ ১৯৫৬ সালে শুরু হওয়া এই টুর্নামেন্টটি এরই মধ্যে পেরিয়েছে ১৮টি আসর৷ সর্বশেষ এশিয়ান ফুটবলের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কাতারের ৪টি শহরের ৯টি ভেন্যুতে ২৪ দলের অংশগ্রহণে চলছে এবারের আসর৷ 

কোন গ্রুপে কারা খেলছে? 

গ্রুপ-এঃ- কাতার, তাজাকিস্তান, চীন, লেবানন 
গ্রুপ-বিঃ– অস্ট্রেলিয়া, উজবেকিস্তান, সিরিয়া, ভারত 
গ্রুপ-সিঃ– ইরান, সংযুক্ত আরব-আমিরাত, হংকং, ফিলিস্তিন। 
গ্রুপ-ডিঃ– জাপান, ইরাক, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম 
গ্রুপ-ইঃ– দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান, বাহরাইন, মালেশিয়া। 
গ্রুপ-এফঃ– সৌদি আরব, থাইল্যান্ড, ওমান, কিরগিস্তান।

গ্রুপ পর্বের ম্যাচ শেষে আগামী ২৮ জানুয়ারী থেকে ৩১ জানুয়ারী পর্যন্ত মাঠে গড়াবে টুর্নামেন্টটির নকআউট পর্ব৷ এরপর ২-৩ ফেব্রুয়ারী কোয়ার্টার ফাইনাল ও ৬-৭ ফেব্রুয়ারী সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। ১০ ফেব্রুয়ারী লুসাইল স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে৷ 

সর্বোচ্চ শিরোপা যাদের ঘরে 

এএফসি এশিয়ান কাপে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সফল দল জাপান। এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের চারটি শিরোপা ঘরে তুলেছে ব্লু সামুরাইরা৷ ১৯৯২ সালে সৌদি আরবকে হারিয়ে প্রথম বারের মতো এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরে তারা৷ এরপর ২০০০ ও ২০০৪ সালে টানা দুইবার চ্যাম্পিয়ন হয়ে শিরোপার হ্যাট্রিক করে জাপান৷ মাত্র এক আসর পর ২০১১ সালে চতুর্থবারের মতো শিরোপা ঘরে তোলে তারা৷ 

জাপানের পর সবচেয়ে বেশি শিরোপার দেখা পেয়েছে এশিয়ার অন্য দুই পরাশক্তি ইরান ও সৌদি আরব৷ দুই দলই তিন বার করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে৷ এর মধ্যে সৌদি আরব ছয় বার টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেললেও শিরোপার ছোঁয়া পেয়েছে কমই৷ প্রথম দুই আসরের চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ কোরিয়া দীর্ঘ ৬৩ বছর ধরে ট্রফি ক্যাবিনেটে এখনো তৃতীয় শিরোপা যোগ করতে পারেনি৷ যদিও এর মধ্যে চার বার ফাইনাল খেলেছে দক্ষিণ কোরিয়া কিন্তু ট্রফি জয়ের সৌভাগ্য মেলেনি দলটির৷  

এক নজরের এশিয়ান ফুটবলের চ্যাম্পিয়নরা 

সালচ্যাম্পিয়নরানার্সআপ
১৯৫৬দক্ষিণ কোরিয়াইসরায়েল
১৯৬০দক্ষিণ কোরিয়া   ইসরায়েল
১৯৬৪ইসরায়েলভারত
১৯৬৮ইরানবার্মা
১৯৭২ইরানদক্ষিণ কোরিয়া
১৯৭৬ইরানকুয়েত
১৯৮০কুয়েতদক্ষিণ কোরিয়া
১৯৮৪সৌদি আরবচীন
১৯৮৮সৌদি আরবদক্ষিণ কোরিয়া 
১৯৯২জাপানসৌদি আরব
১৯৯৬সৌদি আরব আরব-আমিরাত
২০০০জাপানসৌদি আরব
২০০৪জাপানচীন
২০০৭ইরাকসৌদি আরব
২০১১জাপানঅস্ট্রেলিয়া
২০১৫অস্ট্রেলিয়াদক্ষিণ কোরিয়া
২০১৯কাতারজাপান

আরও পড়ুন: বসুন্ধরা কিংসের লালকার্ড দেখা সেই গফুরভের জন্য দুঃসংবাদ

ক্রিফোস্পোর্টস/২৫জানুয়ারি২৪/এফএএস

Crifosports announcement
Click to comment

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Focus

More in ফুটবল