এশিয়ান ফুটবলের সবচেয়ে বড় মহাযজ্ঞ এএফসি এশিয়ান কাপ। বিশ্বকাপের মতো প্রতি চার বছর পরপর মাঠে গড়ায় এশিয়ান ফুটবলের এই শ্রেষ্ঠত্বের আসর। টুর্নামেন্টকে ঘিরে গোটা এশিয়ান ফুটবল মিলিত হয় এক বিন্দুতে৷ ২০০৭ এশিয়ান কাপ থেকে ওশেনিয়ার দেশ অস্ট্রেলিয়াও যোগ দেয় এই টুর্নামেন্টে। ফলে পূর্বের চেয়ে টুর্নামেন্টের উত্তেজনা আরো কয়েকগুন বেড়ে যায়৷
এশিয়ান ফুটবলে যোগ দিয়ে এরই মধ্যে অস্ট্রেলিয়া ২০১১ এশিয়ান কাপের রানার্সআপ ও ২০১৫ এশিয়ান কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে৷ শুরুর দিকে রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে টুর্নামেন্টটি অনুষ্ঠিত হলেও বর্তমানে গ্রুপ পর্ব ও নক আউট পর্বের মাধ্যমে চলছে এশিয়ান ফুটবলের সবচেয়ে বড় এই আসর৷
যখন শুরু হয় এএফসি এশিয়ান ফাপ
১৯৫৬ সালে হংকংয়ে অনুষ্ঠিত হয় এশিয়ান কাপের প্রথম আসর৷ প্রথম দুই আসরেই বাজিমাত করে দক্ষিণ কোরিয়া। এশিয়ার প্রথম কোনো দল হিসেবে টানা দুই আসরে এশিয়ান ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা ঘরে তোলে দক্ষিণ কোরিয়া৷ ১৯৫৬ সালে শুরু হওয়া এই টুর্নামেন্টটি এরই মধ্যে পেরিয়েছে ১৮টি আসর৷ সর্বশেষ এশিয়ান ফুটবলের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কাতারের ৪টি শহরের ৯টি ভেন্যুতে ২৪ দলের অংশগ্রহণে চলছে এবারের আসর৷
কোন গ্রুপে কারা খেলছে?
গ্রুপ-এঃ- কাতার, তাজাকিস্তান, চীন, লেবানন
গ্রুপ-বিঃ– অস্ট্রেলিয়া, উজবেকিস্তান, সিরিয়া, ভারত
গ্রুপ-সিঃ– ইরান, সংযুক্ত আরব-আমিরাত, হংকং, ফিলিস্তিন।
গ্রুপ-ডিঃ– জাপান, ইরাক, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম
গ্রুপ-ইঃ– দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান, বাহরাইন, মালেশিয়া।
গ্রুপ-এফঃ– সৌদি আরব, থাইল্যান্ড, ওমান, কিরগিস্তান।
গ্রুপ পর্বের ম্যাচ শেষে আগামী ২৮ জানুয়ারী থেকে ৩১ জানুয়ারী পর্যন্ত মাঠে গড়াবে টুর্নামেন্টটির নকআউট পর্ব৷ এরপর ২-৩ ফেব্রুয়ারী কোয়ার্টার ফাইনাল ও ৬-৭ ফেব্রুয়ারী সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। ১০ ফেব্রুয়ারী লুসাইল স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে৷
সর্বোচ্চ শিরোপা যাদের ঘরে
এএফসি এশিয়ান কাপে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সফল দল জাপান। এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের চারটি শিরোপা ঘরে তুলেছে ব্লু সামুরাইরা৷ ১৯৯২ সালে সৌদি আরবকে হারিয়ে প্রথম বারের মতো এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরে তারা৷ এরপর ২০০০ ও ২০০৪ সালে টানা দুইবার চ্যাম্পিয়ন হয়ে শিরোপার হ্যাট্রিক করে জাপান৷ মাত্র এক আসর পর ২০১১ সালে চতুর্থবারের মতো শিরোপা ঘরে তোলে তারা৷
জাপানের পর সবচেয়ে বেশি শিরোপার দেখা পেয়েছে এশিয়ার অন্য দুই পরাশক্তি ইরান ও সৌদি আরব৷ দুই দলই তিন বার করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে৷ এর মধ্যে সৌদি আরব ছয় বার টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেললেও শিরোপার ছোঁয়া পেয়েছে কমই৷ প্রথম দুই আসরের চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ কোরিয়া দীর্ঘ ৬৩ বছর ধরে ট্রফি ক্যাবিনেটে এখনো তৃতীয় শিরোপা যোগ করতে পারেনি৷ যদিও এর মধ্যে চার বার ফাইনাল খেলেছে দক্ষিণ কোরিয়া কিন্তু ট্রফি জয়ের সৌভাগ্য মেলেনি দলটির৷
এক নজরের এশিয়ান ফুটবলের চ্যাম্পিয়নরা
সাল | চ্যাম্পিয়ন | রানার্সআপ |
১৯৫৬ | দক্ষিণ কোরিয়া | ইসরায়েল |
১৯৬০ | দক্ষিণ কোরিয়া | ইসরায়েল |
১৯৬৪ | ইসরায়েল | ভারত |
১৯৬৮ | ইরান | বার্মা |
১৯৭২ | ইরান | দক্ষিণ কোরিয়া |
১৯৭৬ | ইরান | কুয়েত |
১৯৮০ | কুয়েত | দক্ষিণ কোরিয়া |
১৯৮৪ | সৌদি আরব | চীন |
১৯৮৮ | সৌদি আরব | দক্ষিণ কোরিয়া |
১৯৯২ | জাপান | সৌদি আরব |
১৯৯৬ | সৌদি আরব | আরব-আমিরাত |
২০০০ | জাপান | সৌদি আরব |
২০০৪ | জাপান | চীন |
২০০৭ | ইরাক | সৌদি আরব |
২০১১ | জাপান | অস্ট্রেলিয়া |
২০১৫ | অস্ট্রেলিয়া | দক্ষিণ কোরিয়া |
২০১৯ | কাতার | জাপান |
আরও পড়ুন: বসুন্ধরা কিংসের লালকার্ড দেখা সেই গফুরভের জন্য দুঃসংবাদ
ক্রিফোস্পোর্টস/২৫জানুয়ারি২৪/এফএএস