২০০৩ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় মেরুদন্ডের দুই হাড় ও দুই পা ভেঙ্গে যায়। স্বপ্ন ছিল তায়কোয়ান্দকে ঘিরে, কিন্তু পঙ্গুত্ব বরণ করে সে স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে যায় ইরানের জাহরা নেমাতির। ভীষণ ভেঙ্গে পড়েছিলেন কিন্তু হার মানেননি। ৩ বছর পর ২০০৬ সালে আর্চারিতে নাম লেখান তিনি। আর এখন হুইল চেয়ারে বসেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ইরানের প্রতিনিধিত্ব করে যাচ্ছেন ৩৮ বছর বয়সী এ তীরন্দাজ।
হ্যাংঝুর ফুইয়ুং ইনহু স্পোর্টস সেন্টারে তাই সোমবার সবার নজর ছিল এই ইরানিয়ান তীরন্দাজের দিকে। যিনি পঙ্গুত্বের কাছে হার মানেননি। যার হাসি ও কথার মাঝে আত্নবিশ্বাস ফুটে ওঠে। যিনি হুইল চেয়ারে বসেই তার লক্ষ্যের দিকে ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছেন।
একমাত্র ইরানিয়ান এথলেট হিসেবে অলিম্পিক এবং প্যারা অলিম্পিকের আসরে অংশ নিয়েছেন। জাহরা নেমাতি ২০১৬ সালের রিও ডি জেনিরোতে প্যারা অলিম্পিকে স্বর্ণ জিতেছিলেন এনং সামার অলিম্পিকে হয়েছিলেন ৩৩ তম।
এশিয়ান গেমসের উদ্বোধনীতে ইরানের পতাকা বহনকারী এই সাহসী নারী ইতোমধ্যে প্যারা অলিম্পিকে স্বর্ণ জিতেছেন তিনটি। এশিয়ান গেমসে তার স্বপ্নের কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান,” আমি খুব ভালো করার চেষ্টা করছি। আমার স্বপ্ন হলো স্বর্ণ নিয়ে দেশে ফেরা। আমার সতীর্থরাও বেশ ভালো করেছেন। তবে আমি বিশ্বাস করি, আমি আমার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবো এবং স্বর্ণ জিতেই দেশে ফিরতে পারবো।”
দুর্ঘটনার পর জীবনের কঠিন সময়ের কথা বলতে গিয়ে নেমাতি বলেন,” দূর্ঘটনার পর আমি মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছিলাম। কি করবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না, চারদিকে অন্ধকার দেখছিলাম। তায়কোয়ান্দ ছিল আমার স্বপ্ন। তবে প্যারা অলিম্পিক সম্পর্কে আমি আগেই শুনেছি। নিজেই ভাবলাম যে, কত প্রতিবন্ধিই তো কত কিছু করছে তাহলে আমি কেন পারবো না! এরপরই আর্চারিতে নাম লেখালাম।”
অদম্য ও হার না মানা মানসিকতার জন্য জাহরা নেমাতি ২০১৩ সালে স্পিরিট অব স্পোর্টস এ্যাওয়ার্ড জেতেন।
আরও পড়ুন: আবারও জাতীয় দলে ফেরার স্বপ্ন বুনছেন সাইফউদ্দিন
ক্রিফোস্পোর্টস/২অক্টোবর২৩/এমএস/এসএ