পিএসএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে বাবর আজমের পেশোয়ার জালমিকে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠল ইসলামাবাদ ইউনাইটেড। প্লে-অফে দুইবার সুযোগ পেয়েও আসরের ফাইনাল নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে পেশোয়ার জালমি। এতে পিএসএল নবম আসরের ফাইনালে মুলতান সুলতানসের বিপক্ষে শিরোপা জয়ের লড়াই করবে ইসলামাবাদ।
গতকাল শনিবার (১৬ মার্চ) রাতে জমজমাট এক ম্যাচে পেশোয়ার জালমিকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে ইসলামাবাদ। বাবর আজমদের ১৮৬ রানের লক্ষ্য এক ওভার বাকি থাকতেই টপকে যায় শাদাব খানের দল। রান তাড়া করতে নেমে শেষ দিকে ইমাদ ওয়াসিম ও হায়দার আলীর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে পেশোয়ার জলমিকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে ইসলামাবাদ।
পেশোয়ার জালমির ১৮৫ রানের বিপরীতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ইসলামাবাদ ইউনাইটেড। মাত্র ১ রান করেই বিদায় নেন ইংলিশ ওপেনার অ্যালেক্স হেলেস। তিন এবং চার নম্বরে নামা আঘা সালমান ও অধিনায়ক শাদাব খান ধরতে পারেননি দলের হাল। তাদের ব্যাটিং ব্যর্থতায় দলীয় ২১ রানে পড়ে যায় ইসলামাবাদের ৩ উইকেট।
তবে এরপর আরেক ওপেনার মার্টিন গাপ্টিল ও আজম খানকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন ইমাদ ওয়াসিম। গাপ্টিল খেলেন ২১ বলে ৩৪ রানের একটি আগ্রাসী ইনিংস। ১৭ বলে ২২ রান করে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেও বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেননি তারা। ৯১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ইসলামাবাদ।
এরপরেই যেন ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয় ইমাদ ওয়াসিম এবং হায়দার আলীর ম্যাচ জয়ী জুটি। ৪৯ বলে ৯৮ রানের এই দুর্দান্ত পার্টনারশিপের পথে মাত্র ২৮ বলে ঝড়ো ফিফটি তুলে নেন হায়দার আলী। শেষ পর্যন্ত ২৯ বলে ৫২ রানের ইনিংসে তিনি হাকিয়েছেন ২ চারের সঙ্গে ৫টি ছক্কার মার।
এছাড়া উইকেটের এক প্রান্ত আগলে রেখে ৪০ বলে ৫৯ রান করেন ইমাদ ওয়াসিম। ম্যাচ জয়ী এই ইনিংসে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৯টি চারের মার। শেষ পর্যন্ত দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন তিনি। এছাড়া বোলিংয়েও বেশ ইকনোমিকাল ছিলেন ইমাদ। তাই ম্যাচ সেরার পুরস্কারটি উঠেছে তারই হাতে।
এর আগে প্রথম ইনিংসে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু করেছিল পেশোয়ার জালমি। বাবর আজম ২২ বলে ২৫ রান করে আউট হলে সিয়াম আয়ুবের সঙ্গে ভাঙ্গে তার ৭২ রানের দারুণ একটি ওপেনিং পার্টনারশিপ। চলতি আসরে সিয়াম তুলে নিয়েছেন নিজের দ্বিতীয় অর্ধশতক। ৪ ছক্কা এবং ৬ চারের মারে সাজানো তার ৪৪ বলে ৭৩ রানের ইনিংস থামে শাদাব খানের বলে আউট হয়ে।
হারিস রউফ খেলেছিলেন ২৫ বলে ৪০ রানের ইনিংস। শেষদিকে টম কোহলার-ক্যাডমোরের ৯ বলে ১৮ এবং আমির জামালের অপরাজিত ৯ বলে ১৭ রানে ভর করে ১৮৫ রানের সংগ্রহ পায় বাবর আজমদের পেশোয়ার জালমি তবে এই রান শেষ পর্যন্ত তাদের জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি। এর আগে প্রথম কোয়ালিফায়ারেও মুলতান সুলতানসের বিপক্ষে হেরে ফাইনালে ওঠার সুযোগ হারিয়েছিল পেশোয়ার।
এবার ইসলামাবাদের কাছে পরাজিত হয়ে দ্বিতীয় সুযোগটিও হাত ছাড়া করল তারা। এর আগে দুই দফায় ফাইনালে উঠে শিরোপা জিতেছিল ইসলামাবাদ। আগামী সোমবার তাই মুলতান সুলতানসের বিপক্ষে ফাইনালে ইসলামাবাদের সুযোগ থাকবে নিজেদের শিরোপার সংখ্যা বাড়িয়ে নেওয়ার।
আরও পড়ুন: এফএ কাপে নতুন ইতিহাস গড়লো ম্যানচেস্টার সিটি
ক্রিফোস্পোর্টস/১৬মার্চ২৪/এফএএস