২০তম ওভারের প্রথম দুই বলে দুটি রান আউট করে মোহাম্মদ আমির যখন উল্লাসে ভাসছেন, তার আগের ওভারের চিত্র এমন ছিল না। কেননা ১৮তম ওভারে ১১ রান খরচ করে গেছেন আমির। তার আগের দুই ওভারে দিয়েছেন ৩০ রান। শেষ ওভারে নিউজিল্যান্ডের জয় ঠেকাতে ১২ রানের আগেই আটকাতে হবে এমন সমীকরণ ছিল। সেই সমীকরণ মিলিয়ে দলকে জিতিয়েছেন আমির।
কিন্তু লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে শনিবার রাতে পাকিস্তানের জয়ের মূল কাজটি করেন বাবর আজম, ফখর জামান, শাহীন আফ্রিদি ও উসামা মীর। নিউজিল্যান্ডের কাছে প্রায় হারতে বসা ম্যাচটিতে ৯ রানের জয়ে ২-২ সমতা নিয়ে সিরিজ শেষ করল পাকিস্তান।
এর আগে সিরিজের প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের জয়ের পর, টানা দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ জয়ের স্বপ্ন দেখে সফরকারী নিউজিল্যান্ড। পঞ্চম টি-টোয়েন্টি ছিল পাকিস্তানের সিরিজ বাঁচানোর লড়াই, আর কিউইদের সিরিজ জয়ের ম্যাচ। সেখানে পাকিস্তানই সফল।
এদিন আগে ব্যাটিং করে স্বাগতিকরা নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৭৮ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। এই সিরিজের তৃতীয়, চতুর্থ ও সর্বশেষ পঞ্চম এই তিন ম্যাচেই আগে ব্যাট করা দলের সংগ্রহ ১৭৮ রান! যা দেখে রীতিমত তাজ্জব বনে যাচ্ছেন সবাই।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই সাইম আইয়ুবকে হারায় পাকিস্তান। তবে দারুণ ব্যাটিংয়ে এগিয়ে নেন দলকে বাবর। দ্বিতীয় উইকেটে উসমান খানের সঙ্গে ৪৫ বলে ৭৩ রানের জুটি গড়েন তিনি। উসমান খান ধীরগতির ইনিংস খেলে ২৪ বলে ৩১ রানে বিদায় নেন। পরে ৩৫ বলে ফিফটি পূর্ণ করে বোল্ড হওয়ার আগে ৪৪ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় ৬৯ রান করেন।
৩৩ বলে ৪টি চার ও একটি ছক্কায় ৪৩ রান করে ফখর জামান। শেষদিকে ৫ বলে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন শাদাব খান। ৫ উইকেটে পাকিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৭৮ রানের। নিউজিল্যান্ডের হয়ে পাঁচ বোলার একটি করে উইকেট নেন।
১৭৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামে সফরকারীরা। প্রথম ওভারের শেষ ডেলিভারিতে ওপেনার টম ব্লান্ডেলকে বোল্ড করে দেন শাহিন আফ্রিদি। তবে ঝড় তোলেন ওপেনার টিম সাইফার্ট। ২৯ বলে ফিফটি করে নিজের স্কোর ৫২ রানে নিয়ে বিদায় নেন। কিন্তু পরের ২৩ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে এলোমেলো হয়ে যায়।
সাইফার্ট (২৩), চাপম্যান (১২), ব্রেসওয়েল ও ম্যাককনি (১) ফেরার পর হাল ধরেন জিমি নিশাম ও জশ ক্লার্কসন। কিন্তু দ্বিতীয় স্পেলে বল হাতে নিয়েই পরপর দুই বলে নিশাম ফৌকসকে তুলে নেন শাহীন আফ্রিদি। শেষদিকে জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১০ বলে ১৫ রানের। কিন্তু এই পথ পাড়ি দিতে পারেননি। আমিরের ওভারের পরপর দুটি রান আউটে ৪ বল হাতে রেখে ১৬৯ রানে অলআউট হয় ব্ল্যাকক্যাপসরা।
পাকিস্তানের হয়ে ৪ উইকেট নেন শাহীন আফ্রিদি। ২১ রানে ২ উইকেট শিকার করেন উসামা মীর। এক উইকেট করে নেন ইমাদ ওয়াসিম ও শাদাব খান। শাহীন আফ্রিদি ম্যাচ সেরা ও সিরিজ সেরা নির্বাচিত হন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত টি-টোয়েন্টিসহ আজকের খেলা (২৮ এপ্রিল ২৪)
ক্রিফোস্পোর্টস/২৮এপ্রিল২৪/এজে