চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি পাকিস্তানের জন্যে। আইসিসির সহযোগী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে অপ্রত্যাশিতভাবে পরাজিত হয়েছে বাবর আজমের দল। গতকাল রাতে পাকিস্তানকে দারুন ভাবে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপার ওভারে ম্যাচ জিতে নিয়েছে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র।
গতকাল টেক্সাসে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বোলিংয়ের বিপক্ষে খুব একটা সুবিধা করে উঠতে পারছিল না বাবর-রিজওয়ানরা। নতুন বলে যুক্তরাষ্ট্রের বোলাররা দারুন সুবিধা পেয়েছিল। প্রথম পাওয়ার প্লেতে পাকিস্তান তিন উইকেট হারিয়ে মাত্র ৩০ রান তুলতে সক্ষম হয় স্কোরবোর্ডে।
অবশ্য শেষ দিকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ১৫৯ পর্যন্ত রান তুলতে পারে বাবর আজমের দল। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে এই উইকেটে ১৬০ রান পাকিস্তানের জয়ের জন্য যথেষ্ট হবে বলেই মনে হচ্ছিল। তবে পাক বোলাররা সেই কাজটি করে দেখাতে ব্যর্থ হয়। শেষ ওভারে ১৪ রান তুলে সুপার ওভার পর্যন্ত ম্যাচ নিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র।
পাকিস্তানের স্কোরবোর্ডে যে রান ছিল তা বোলারদের ডিফেন্ড করার মত যথেষ্ট ছিল বলে মনে করেন দলের অধিনায়ক বাবর আজম। তাই ম্যাচ হারের দায় অনেকটা বোলারদের ওপরই চাপালেন তিনি। ম্যাচ শেষে বাবর বলেন, ‘এমনকি দ্বিতীয় ইনিংসে আমার মনে হয়েছে যে, আমরাও সাহায্য পেয়েছি। কিন্তু বোলিংয়ের দিক থেকে আমরা সঠিক মানে ছিলাম না।’
পাকিস্তানের মানসম্মত বোলার আছে যাদের এই সংগ্রহ ডিফেন্ড করার সামর্থ্য আছে, ‘প্রথম দশ ওভারে আমাদের ঘাটতি ছিল। এরপর আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি। কিন্তু এর আগেই তারা মোমেন্টাম পেয়ে যায়। তবে আমাদের যে মানের বোলার আছে, এই সংগ্রহ ডিফেন্ড করা উচিত ছিল। এই পিচে আমাদের বোলিংয়ের জন্য এটি জেতার মতো স্কোর ছিল।’
বাবর আরও বলেন, ‘আমরা বোলিংয়ে এর চেয়ে ভালো। প্রথম ছয় ওভারে আমরা উইকেট নিতে পারিনি। মাঝের ওভারে যদি আপনার স্পিনাররা উইকেট নিতে না পারে, তাহলে চাপটা চলে আসে। দশ ওভার পর আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি। কিন্তু তারা যেভাবে সুপার ওভারে খেলাটি শেষ করেছে, কৃতিত্ব অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্র দলকে দিতে হবে।’
এদিকে সুপার ওভারে পাকিস্তানের হয়ে বল করতে আসেন মোহাম্মদ আমির। ওভারের কেবল প্রথম বলে একটি বাউন্ডারি হজম করেন তিনি। অবশ্য তারপরেও প্রতিপক্ষকে ১৮ রান দেন সেই ওভার থেকে। আমির তিন হোয়াইটসহ অতিরিক্ত ৭ রান বিলিয়ে দেন সুপার ওভারে। সেখানেই অনেকটা পাকিস্তান হেরে যায়।
আমিরকে নিয়ে বাবর বলেন, ‘সে অভিজ্ঞ বোলার। সে জানে কীভাবে বোলিং করতে হয় এবং আমরা সে অনুযায়ীই ফিল্ডিং সাজিয়েছিলাম। কিন্তু আমার মনে হয় যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটসম্যানেরা বেশ স্মার্ট। উইকেটরক্ষকের হাতে বল থাকতেও তারা দৌড়ে রান নিয়েছে। সুপার ওভারে এটা তাদের জন্য প্লাস পয়েন্ট ছিল।’
আরও পড়ুন: ৬০ হাজার দর্শকের সামনে চোখের জলে সুনীলের বিদায়
ক্রিফোস্পোর্টস/৭জুন২৪/এফএএস