আজ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (মঙ্গলবার) দিনের প্রথম ম্যাচে দুপুর দেড়টায় ছিল হাইভোল্টেজ ম্যাচ। মাশরাফির সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে নুরুল হাসান সোহানের রংপুর রাইডার্স মুখোমুখি হয়েছিল। তবে ম্যাচে রানের ফুলঝুরি দেখা না গেলেও বাবর আজমের অর্ধশতকে ভর করে রোমাঞ্চ ছড়িয়ে ম্যাচটি ৪ উইকেটে জিতে নিয়েছে রংপুর রাইডার্স।
প্রথমেই টস জিতে সিলেটকে ব্যাটিংয়ে পাঠানো রাইডার্সরা শুরু থেকেই মাশরাফির দলকে চাপে ফেলে দেয়। স্লো উইকেটে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা সিলেট পুরো ম্যাচে কখনোই টি-টোয়েন্টি সুলভ ব্যাটিং করতে পারেনি। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই মেহেদী মিরাজে শিকারে পরিণত হন ওপেনার মোহাম্মদ মিথুন। ৩ বলে ৫ রানে সাজঘরে ফেরেন এই ডানহাতি। তিন নম্বরে নামা অধিনায়ক মাশরাফিও ৭ বলে ৬ রান করে রান আউট হয়ে যান।
দলীয় ২৪ রানে ২ উইকেট হারানো সিলেট পরবর্তী ১৫ রান যোগ করতে আরও ৩ উইকেট হারিয়ে বসে। আরেক ওপেনার নাজমুল শান্ত ২৪ বলে মাত্র ১৪ রান করে হাসান মুরাদের বলে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন৷
এর পরেই ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে বেন কাটিং ও বেনি হাউয়েলের ৬৮ রানের জুটিতে নূন্যতম লড়াই করার পুঁজি পায় মাশরাফির সিলেট। রংপুরের হয়ে মেহেদি , হাসান মাহমুদ এবং রিপন মন্ডল প্রত্যেকেই সমান ২ টি করে উইকেট নেন।
অল্প রানের লক্ষ্যটা রংপুরের জন্য যতটা সহজ মনে হয়েছিল, ততটা সহজে পার পায়নি রংপুর। দুশন হেমন্থসহ নাজমুল, সাকিবদের বোলিং তোপে ৩৯ রান তুলতেই ৬ ব্যাটসম্যান হারিয়ে হারের ভয় জেঁকে বসে রংপুর শিবিরে। কিন্তু সকল শঙ্কা কাটে পাকিস্তানের সাবেক কাপ্তান বাবর আজম ও আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের সপ্তম উইকেটে করা ৮৬ রানের জুটিতে।
গতকাল রাতেই রংপুর রাইডার্সের সাথে যোগ দিয়ে আজ দুপুরেই দলের কঠিন মুহুর্তে হাঁকালেন ৪৯ বলে ৫৬ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন আফগানিস্তানের ওমরজাই ৩৫ বলে ৪৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলার মাধ্যমে। এই দু’জন বাদে রংপুরের বাকি ছয় ব্যাটসম্যানের কেউই দুই অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেনি।
রাইডার্সদের হয়ে ৪ ওভারে ২০ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন দুশন হেমন্থ। এছাড়া রিচার্ড এনগারাভা, তানজিম সাকিব ও নাজমুল ইসলাম ১ টি করে উইকেট নেন।
আরও পড়ুন: অভিমানী তামিমের ব্যাটে রচিত হলো নতুন ইতিহাস
ক্রিফোস্পোর্টস/২৩জানুয়ারি২৪/এমএস/এমটি