জমে উঠছে পিএসএলের প্রতিটা। চার-ছক্কায় বয়ে যাচ্ছে রানের বন্যা। উইকেটও পাচ্ছেন বোলাররা। ভ্যানডার ডুসেন, আজম খান, বাবর আজমের মতো ক্রিকেটাররা রানের ফুলঝুরি বইয়ে দিচ্ছেন। মঙ্গলবার রাতেও দেখা গেছে একই দৃশ্য। ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের মুখোমুখি হয়েছিল বাবরের পেশোয়ার জালমি। ম্যাচে ১১১ রানের বিশাল ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েছেন বাবর। জয় পেতে একটু বেগই হয়েছে তার দলকে।
মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে রীতিমত তাণ্ডব চালিয়েছেন বাবর। ৬৩ বলে ১১১ রানের ইনিংস খেলার পথে ১৪টি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকান। পেশোয়ারের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ২০১। জয়ের জন্য ইসলামাবাদের লক্ষ্য ঠিল ২০২ রান। কিন্তু ২০ ওভারে ১৯৩ রানে থামে শাদাব খানের দল। ৮ রানে জয় পায় বাবরবাহিনী।
এদিন ওপেনার সিয়াম আইয়ুবকে সাথে নিয়ে ৭৭ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন বাবর। সিয়াম ৩৮ রানে ফিরে যান। বাকিরা আর তেমন রান পাননি। তবে একেকটি জুটি গড়ে বড় ইনিংস খেলেন সাবেক এই অধিনায়ক। পল ওয়াল্টার ১৯ ও আসিফ আলী ১৭ রান করেন। ইসলামাবাদের হয়ে শাদাব খান ২টি, নাসিম শাহ ও আগা সালমান একটি করে উইকেট নেন।
২০২ রানের বিশাল লক্ষ্যে খেলতে নেমে জর্ডান কক্স ও দলনায়ক শাদাব দ্রুত ফিরে গেলে চাপে পড়ে ইসলামাবাদ। পরে কলিন মুনরো ও আজম খান ১০৮ রানের জুটি গড়লে জয়ের আশা তৈরি হয়। কিন্তু আরি ইয়াকুবের বোলিংয়ে আবারও খেই হারায় ইসলামাবাদ।
মুনরো ৫৩ বলে ৭১ রানে ফেরেন। কিন্তু ঝড় তুলে ৩০ বলে ৭৫ রান করেন আজম খান। ইনিংস সাজিয়েছিলেন ৬টি চার ও ৬টি ছয়ে। এক বলের ব্যবধানে আজম খান ও কলিন মুনরো ফিরে যাওয়ার পর মাত্র ১০ রানের ব্যবধানেই শেষ হয় ইসলামাবাদের ইনিংস। ৮ রান দূরে থাকতেই শেষ হয় নির্ধারিত ২০ ওভার।
পেশোয়ারের হয়ে বল হাতে আগুন ঝরান আরিফ ইয়াকুব। ৪ ওভারে মাত্র ২৭ রান খরচায় ৫ উইকেট তুলে নেন এই তরুণ তুর্কি। সিয়াম আইয়ুব, নাভিন উল হক, লুক উড ও সালমান ইরশাদ একটি করে উইকেট নেন।
৫ ম্যাচে ৪ জয়ে টেবিলের শীর্ষে আছে মুলতান। কোয়েটা ৪ ম্যাচে ৩ জয় এবং পেশোয়ার ৫ ম্যাচে ৩ জয় নিয়ে যথাক্রমে দুই ও তিনে আছে। করাচি তিন ম্যাচে ২টি জয় পেয়েছে। ৪ ম্যাচে ১টি জয় ইসলামাবাদের। আসরে ৫ ম্যাচ খেলে এখনো জয় দেখেনি লাহোর কালান্দার।
আরও পড়ুন: লাহোর-মুলতানের ম্যাচসহ আজকের খেলা (২৭ ফেব্রুয়ারি ২৪)
ক্রিফোস্পোর্টস/২৭ফেব্রুয়ারি২৪/এজে