ঘরের মাঠে চলমান ত্রিদেশীয় সিরিজে জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ক্রিকেট দল। সিরিজে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারানোর পর এবার পাকিস্তানের মেয়েদের হারিয়ে জয়ের ধারা ধরে রাখল তারা। টি-টোয়েন্টি সংস্করণের এই সিরিজে আজ আগে ব্যাট করে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৩৬ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। জবাবে সফরকারীদের ১০০ রানেই আটকে দিয়েছে জুনিয়র টাইগ্রেসরা।
আজ (শনিবার) কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরুতে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় স্বাগতিক বাংলাদেশ। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রানের পুঁজি পায় তারা। অধিনায়ক সুমাইয়া আক্তার খেলেছেন ২৪ বলে ৩২ রানের দূর্দান্ত এক ইনিংস। সাথে আরবিন তানির ৩১ রান, সুমাইয়া আক্তার সুবর্ণার ব্যাট থেকে আসে ২৪ ও রাবেয়া খান ২৩ রান করে অবদান রাখেন।
জবাবে ব্যাট হাতে পাকিস্তানের দুই ওপেনার ছাড়া আর কোন ব্যাটারই আশানুরূপ খেলতে পারেনি। সফরকারীদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন ওপেনার আয়মান ফাতিমা। আরেক ওপেনার সামিয়া আফসারের ব্যাট থেকে আসে ২৫ রান। এছাড়া বলার মত আর কোন পাকিস্তানি ব্যাটারই রান করতে পারেনি। বাংলাদেশের হয়ে আফিয়া আসিমা ইরা সর্বোচ্চ ২ উইকেট শিকার করেন। এছাড়া রাবেয়া খান এবং ফারিয়া আক্তার ১ টি করে উইকেট নেন। ব্যাট হাতে ২৩ রান ও বল হাতে ১ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন বাংলাদেশের রাবেয়া।
বাংলাদেশের দেয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা দারুণ করে পাকিস্তানি ওপেনাররা। ফাতিমা-সামিয়ার ৫১ রানের জুটিটি ভেঙে গেলে আসলে তারা ধীরে ধীরে ম্যাচ থেকেও ছিটকে যেতে থাকে। এই দু’জন ছাড়া আর কেউই ভাল পারফর্ম করতে পারেনি। দলের মিডল অর্ডারও ছিল পুরোপুরি ব্যর্থ। ফলে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা দলটি ৭ উইকেটে নির্ধারিত ওভার শেষে মোটে ১০০ রান তুলতে সক্ষম হয়। এতে ৩৬ রানের পরাজয় বরণ করতে হয় তাদের।
ম্যাচের শুরুতে বাংলাদেশও খুব একটা ভালো অবস্থানে ছিল না। ওপেনার ইভা সাজঘরে ফেরেন মাত্র ৬ রান করে। কিন্তু বাকি ব্যাটারদের মাঝারি ইনিংস এবং শেষ দিকে অধিনায়ক সুমাইয়া আক্তারের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ১৩৬ রানের লক্ষ্য দাঁড় করাতে পেরেছিল যুব টাইগ্রেসরা। সফরকারীদের হয়ে আনোশা নাসির সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন। অধিনায়ক মাহনুর আফতাব এবং মাহাম আনিস সমান ১ টি করে উইকেট শিকার করেন।
আরও পড়ুন: তামিমের ফরচুন বরিশালের টানা তিন হার, চট্টগ্রামের তৃতীয় জয়
ক্রিফোস্পোর্টস/২৭জানুয়ারি২৪/এমএস/এমটি