টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর বিশ্রামের ফুরসত পায়নি বাংলাদেশের কয়েকজন ক্রিকেটার। ফ্রাঞ্চাইজি লিগ থাকার কারণে আবারো বাইশ গজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন সাকিব-মুস্তাফিজরা। তবে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বোলাররা রান খরচের দিক থেকে কৃপণ বোলিং করলেও ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে এসে মুক্ত হস্তে রান বিলিয়েছেন বোলাররা।
চলমান লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ (এলপিএল) ও মেজর লিগ ক্রিকেট (এমএলসি) টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ থেকে ৫ জন ক্রিকেটার খেলছেন। যেখানে এলপিএলে খেলছেন মুস্তাফিজুর রহমান, তাওহিদ হৃদয়, তাসকিন আহমেদ ও শরীফুল ইসলাম। আর এমএলসিতে একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে খেলছেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
এলপিএলে হৃদয় ডাম্বুলা সিক্সারের একাদশে নিয়মিত সুযোগ না পেলেও মুস্তাফিজ নিয়মিত সুযোগ পেয়েছেন। তবে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে না পারায় সবশেষ ম্যাচে একাদশে সুযোগ হারান তিনি। এখন পর্যন্ত ৪ ইনিংসে ৫ উইকেট শিকার করেছেন কাটার মাস্টার। যেখানে ওভারপ্রতি ১১.০৭ ইকোনমিতে রান দিয়েছেন, যা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি।
আরও পড়ুন:
» ভারতের কোচ হিসেবে যেসব সুবিধা পাচ্ছেন গৌতম গম্ভীর
» উরুগুয়ে-কলম্বিয়া ম্যাচে কী হয়েছিল গ্যালারিতে
কলম্বো স্ট্রাইকার্সের জার্সিতে প্রতিনিধিত্ব করা তাসকিনও তেমন সুবিধা করতে পারেননি। এ পর্যন্ত ৩ ম্যাচ খেলে ৪ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। রান দেওয়ার ক্ষেত্রে মুস্তাফিজের চেয়ে কিছুটা কৃপণ ছিলেন তিনি। ওভারপ্রতি ১০.২৭ ইকোনমিতে রান খরচ করেছেন এই ডানহাতি পেসার।
এছাড়া ক্যান্ডি ফ্যালকনের হয়ে খেলা শরিফুল ইসলাম ৪ ম্যাচে উইকেট শিকার করেছেন ৪টি। তবে রান বিলিয়েছেন মুক্ত হচ্ছে। ওভারপ্রতি ১১.৬২ গড়ে রান খরচ করেছেন এই বাঁহাতি পেসার।
এদিকে এমএলসিতে লস অ্যাঞ্জেলের নাইট রাইডার্সের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা সাকিব ব্যাটিং-বোলিং দুটোতেই বিবর্ণ। বিশ্বকাপে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর যুক্তরাষ্ট্রের এই ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টেও জ্বলে উঠতে পারেননি তিনি। ৩ ম্যাচ খেলে ব্যাট হাতে ২০ গড় ও ১৩০.৪৩ গড়ে ৬০ রান করেছেন তিনি।
অন্যদিকে বল হাতে কোনো ম্যাচেই চার ওভারের কোটা পূর্ণ করতে পারেননি সাকিব। ৩ ম্যাচে মোট ৭ ওভার বোলিং করে উইকেট শিকার করেছেন কেবল ১টি। আর ওভারপ্রতি ১১.৭১ ইকোনমিতে রান খরচ করেছেন এই টাইগার অলরাউন্ডার।
ক্রিফোস্পোর্টস/১১জুলাই২৪/বিটি