টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম জয়ের অপেক্ষা আরও দীর্ঘায়িত হলো। চলতি বিশ্বকাপে ক্রিকেটের ক্ষুদ্র সংস্করণের বিশ্বমঞ্চে নবমবারের মতো মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। তবে এবারও জয় ছিনিয়ে নিয়ে টাইগারদের বিপক্ষে অপরাজিত রইল প্রোটিয়ারা।
সোমবার (১০ জুন) ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ২১তম ম্যাচে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা। নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় প্রোটিয়া কাপ্তান এইডেন মার্করাম। তবে নিউইয়র্কের মন্থর ও বোলিং সহযোগী উইকেটে আগে ব্যাট করে সুবিধা করতে পারেনি প্রোটিয়ারা। তাসকিন আহমেদ ও তানজিম সাকিবদের দাপুটে বোলিংয়ে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রানেই আটকে যায় দলটি। জবাবে নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১০৯ তুলতে সক্ষম হয় টাইগাররা। ৪ রানে জয় পায় প্রোটিয়ারা।
এদিন জয়ের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করেন তানজিদ তামিম। তবে রাবাদার বলে পর পর দুটি চার হাকিয়ে শেষ পর্যন্ত ৯ বলে ৯ রান করে ফিরে যান তিনি। এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত ও লিটন দাসের ব্যাটে প্রাথমিক বিপত্তি সামাল দেয় বাংলাদেশ। তবে দলীয় ২৯ রানে ফিরে যান লিটন দাস। এর কিছুক্ষণ পরেই সাকিব ও শান্তও ফিরে গেলে ব্যাকফুটে চলে যায় বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন:
» মাহমুদউল্লাহ বড় ম্যাচের খেলোয়াড়: হাথুরুসিংহে
» পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের বাড়িতে বসিয়ে রাখতে বললেন ওয়াসিম
দলীয় ৫০ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর তাওহীদ হৃদয় ও মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। দুজনের জুটিতে দারুণভাবে এগোচ্ছিলো টাইগাররা। কিন্তু ৯৪ রানের মাথায় আম্পায়ার্স কলে এলবিডব্লিউর শিকার হয়ে ফিরে যান হৃদয়। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ৩৪ বলে ৩৭ রান করেন হৃদয়।
হৃদয় ফিরে গেলেই বদলে যায় ম্যাচের দৃশ্যপট। জাকের আলি ও রিয়াদ বলে বলে রান তুলতে থাকেন। শেষ ওভারে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ১১ রান। তবে শেষ ওভারে জাকেরের আউটের পর মাহমুদউল্লাহও ছয় মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন। আর সেখানেই বাংলাদেশের জয়ের আশা শেষ হয়ে যায়। ৪ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে আনরিচ নরিকিয়া ৩টি এবং কেশব মহারাজ ও কাগিসো রাবাদা ২টি করে উইকেট শিকার করেছেন।
এর আগে দিনের প্রথম ইনিংসে শুরু থেকেই আঘাত আঘাত হানে বাংলাদেশ। দলীয় ১১ রানে তানজিম সাকিবের শিকার হয়ে কোনো রান না করেই ফিরে যান রিজা হেনড্রিকস। তবে অপর প্রান্তে থাকা কুইন্টন ডি কক ম্যাচের শুরু থেকেই বোলারদের ওপর চড়া হলেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে তানজিমের বলে বোল্ড হয়ে ১১ বলে ১৮ রান করে ফিরে যান এই ওপেনার।
এরপর উইকেট শিকারের মিছিলে যোগ দেন তাসকিনও। প্রোটিয়া দলপতি এইডেন মার্করামকে বোল্ড করে প্যাভিলিয়নে ফেরান তিনি। আউট হওয়ার আগে ৮ বলে মাত্র ৪ রান করেন তিনি। এরপর তানজিমের তৃতীয় আঘাতে মাত্র ২৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে দলটি।
আরও পড়ুন:
» মুস্তাফিজকে বিশ্বমানের বোলার বলছেন মরনে মরকেল
» পাকিস্তানকে জয়ের অযোগ্য বললেন শোয়েব আখতার
পরবর্তীতে হেনরিখ ক্লাসেন ও ডেভিড মিলারের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় প্রোটিয়ারা। পঞ্চম উইকেটে ৭৯ বলে ৭৯ রান যোগ করেন এই দুই ব্যাটার। তবে শেষদিকে তাসকিন ও রিশাদের আঘাতে ক্লাসেন ৪৬ এবং মিলার ২৯ রান করে ফিরে যান। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভার খেলে ৬ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান তুলতে সক্ষম হয় প্রোটিয়ারা।
বাংলাদেশের হয়ে চার ওভারে ১৮ রান খরচায় তানজিম সাকিব ৩টি এবং ১৯ রান খরচায় তাসকিন আহমেদ ২টি উইকেট শিকার করেন। এছাড়া ১টি উইকেট নেন রিশাদ হোসেন।
ক্রিফোস্পোর্টস/১১জুন২৪/বিটি