প্রথম ম্যাচে অবিশ্বাস্যভাবে হেরেছিল বাংলাদেশ। সিরিজ বাঁচাতে দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিল না টাইগারদের। তবে সেটাই করে দেখিয়েছে শান্তরা। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে এসে ৬৮ রানের বড় জয় নিয়ে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে লাল-সবুজের দল।
শনিবার (৯ নভেম্বর) সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। শারজায় প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৫২ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে ৪৩.৩ ওভারে ১৮৪ রান তুলে গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান।
বাংলাদেশের দেয়া টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় আফগানিস্তান। দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ব্যাটার রহমানউল্লাহ গুরবাজ এই ম্যাচেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন। দলীয় ১৮ রানের মাথায় তাসকিনের বলে স্পিলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরে যান এই ওপেনার (২)।
আরও পড়ুন:
» ভিনিসিয়ুসের হ্যাটট্রিকের দিনে বড় দুঃসংবাদ পেল ব্রাজিল
» এবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ হলো ভারত
এরপর আরেক ওপেনার সেদিকুল্লাহ অটল ও রহমত শাহ ম্যাচের হাল ধরেন। ধীরে ধীরে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা এই তরণ ক্রিকেটারকে ফেরান নাসুম আহমেদ। নিজের প্রথম ওভারেই প্রথম বলেই সেদিকুল্লাহর উইকেট তুলে নেন রিশাদ হোসেনের পরিবর্তে দলে সুযোগ পাওয়া এই স্পিনার।
সেদিকুল্লাহ ফিরে গেলে হাশমতউল্লাহ শাহিদীর সঙ্গে বেশ শক্ত জুটি গড়েন রহমত। এই জুটিতে বেশ ভালোভাবেই জয়ের লক্ষ্যে এগোচ্ছিলো আফগানিস্তান। তবে মুহূর্তেই ম্যাচের চিত্র পালটে দিয়েছে বাংলাদেশের বোলাররা। মাত্র ১ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ফিরেছে টাইগাররা।
দলীয় ১১৮ রানের মাথায় অধিনায়ক শাহিদীকে ফিরিয়ে ৪৮ রানের জুটি ভাঙেন মুস্তাফিজুর রহমান। এর পরের ওভারে জোড়া উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে আসা আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে শূন্য রানে ফেরান নাসুম। একই ওভারে রান আউটের শিকার হয়ে ফিরে যান অর্শধশতক হাঁকানো রহমত (৫২)।
তবে ষষ্ঠ উইকেটে মোহাম্মদ নবী ও গুলবাদিন নাইবের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে বাংলাদেশ। তবে বিপজ্জনক হওয়ার আগেই গুলবাদিনকে (২৬) ফিরিয়ে ৪৪ রানের এই জুটি ভেঙে দেন শরিফুল ইসলাম। পরেই ওভারেই নবীকে বোল্ড করেন নাসুম আহমেদ। এতেই জয় অনেকটা নিশ্চিত হয় যায় বাংলাদেশের।
এদিন বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট তুলে নিয়েছেন নাসুম আহমেদ। মেহেদি হাসান মিরাজ ও মুস্তাফিজুর রহমান নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। এছাড়া শরিফুল ইসলাম অ তাসকিন আহমেদরা ১টি করে উইকেটের দেখা পেয়েছেন।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শান্তর ৭৬, সৌম্যর ৩৫ এবং শেষদিকে নাসুম (২৫) ও জাকের আলীর (৩৭*) দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে আড়াইশো পেরোয় বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন নেঙ্গালিয়া খারোতে। এছাড়া রশিদ খান ও গজনফার ২টি করে উইকেট শিকার করেন।
ক্রিফোস্পোর্টস/৯নভেম্বর২৪/বিটি