Connect with us
ক্রিকেট

টেস্ট ক্রিকেটে দুই যুগ পেরোলো বাংলাদেশ, যত অর্জন টাইগারদের

Bangladesh cricket team
বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেট দল। ছবি: সংগৃহীত

২০০০ সালের নভেম্বরে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে পদার্পণ করেছিল বাংলাদেশ। লাল বলের যাত্রা শুরুর যুগ কেটে গিয়েছে। এ সময়ে ১৪৮ টি টেস্ট ম্যাচে মাঠে নেমেছেন লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। তার মধ্যে মাত্র ২১ ম্যাচে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ১০৮ ম্যাচ হেরেছে এবং বাকি ১৯ ম্যাচ ড্র করেছেন টাইগাররা

টেস্ট ক্রিকেটের প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে ৯ উইকেটে হেরেছিল বাংলাদেশ। তবে অভিষেক টেস্টেই একজোড়া রেকর্ড গড়েছিলেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল এবং অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয়। সেই টেস্টে বুলবুলের ১৪৫ রানের পাশাপাশি ৬ উইকেট নিয়েছিলেন দুর্জয়। সেই ইনিংসটি বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসের পাতায় তারার মতো জ্বলছে এখনও। দুই যুগে বাংলাদেশের দলীয় অর্জনের তুলনায় খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত অর্জনই বেশি।

টেস্টে প্রথম জয় পেতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল ৫ বছর এবং ৩৪ টি ম্যাচ। ৩৫ তম ম্যাচে সেই বহুল কাঙ্ক্ষিত জয় পেতেছিল হাবিবুল-আকরামরা। ২০০৫ সালে চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম জয় পায় বাংলাদেশ। সেই সিরিজের পরবর্তী ম্যাচ ড্র হওয়ায় টেস্ট ইতিহাসে প্রথম সিরিজ জয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ।

নিজের অভিষেক টেস্টকে স্মৃতির পাতায় লিখেছেন ওপেনার জাভেদ ওমর বেলিম। অভিষেকে টেস্ট ইতিহাসের দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে ইনিংসের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকার রেকর্ড গড়েন এই ওপেনার। ব্যক্তিগত ৮৫ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। এর আগে অভিষেকে এমন মাইলফলক স্পর্শ করেন ইংলিশ ওপেনার পেলহাম ওয়ার্নার। ১৯৮৮ সালে জোহান্সবার্গ টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে এসে ১৩২ রানে অপরাজিত ছিলেন ইংলিশ এই ব্যাটার। বাংলাদেশ দলের কোন ব্যাটারের প্রথমবারের মতো দুই ইনিংসেই হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ডও রয়েছে জাভেদের দখলে।

এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৭ বছর বয়সে ১১৪ রানের রাজসিক ইনিংস খেলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। সব চেয়ে কম বয়সে সেঞ্চুরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।

২০১০ সালের ৩০ মে মাসে লর্ডসে সেঞ্চুরি করেন তামিম ইকবাল। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এমন কৃতিত্ব দেখান এই ওপেনার। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওই লর্ডস টেস্টে বাংলাদেশ অবশ্য হেরেছিল ৮ উইকেটে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৪ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পর ১০৩ রানে সাজ ঘরে ফেরেন তামিম।

২০০৯ সালের সেন্ট ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংস্টনে তাদের ৯৫ রানে হারিয়ে বিদেশের মাটিতে টাইগারদের প্রথম টেস্ট জয়। সেই সিরিজে উইন্ডিজকে দুটি জয় তুলে নেয় বাংলাদেশের। সেই সিরিজে উইন্ডিজকে দুটি ম্যাচেই হারিয়েছিলেন তামিম-সাকিবরা। এরপর ২০১৩ সালের এপ্রিলে হারারে স্পোর্টস ক্লাবের মাঠে দ্বিতীয় বারের মত বিদেশের মাটিতে জয় পায় বাংলাদেশ। সে ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ১৪৩ রানে হারায় টাইগাররা। এরপর অবশ্য জয়ের জন্য খুব বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি। ঘরের মাটিতে জিম্বাবুয়েকে টানা তিন ম্যাচেই হারায় বাংলাদেশ। এরপর ২০১৬ সালের অক্টোবরে ইংল্যান্ডের মতো পরাশক্তির দলকেও মিরপুরের মাটিতে হারিয়েছে বাংলাদেশ।

২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কাকে তাদের মাটিতে হারিয়েছিল বাংলাদেশ । একই বছর মিরপুরের হোম অব ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অস্ট্রেলিয়ার মতো দলকেও ২০ রানে হারের তেতো স্বাদ দেয় টাইগাররা। ২০২২ মাউন্ট মঙ্গানুতে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশ। টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার ২২ বছর পর সেবারই প্রথমবার নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছিল টাইগাররা।

এরপর আফগানিস্তান, আয়ারল্যান্ড, পাকিস্তানের মতো দলগুলোর বিপক্ষেও জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। গত আগস্টে রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানকে দুই ম্যাচের দুটিতেই হারিয়েছিলেন মুশফিক- মুমিনুলরা।

আরও পড়ুনঃ ইতিহাস গড়ে দেশের মানুষকে জয় উৎসর্গ করলেন রিজওয়ান


ক্রিফোস্পোর্টস/১০ নভেম্বর ২৪/এইচআই

Crifosports announcement
Click to comment

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Focus

More in ক্রিকেট