টেস্ট সিরিজের পর টি-টোয়েন্টিতেও বিবর্ণ বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের বিপক্ষে দাঁড়াতেই পারছে না টাইগাররা। টেস্টের পর এবার টি-টোয়েন্টি সিরিজেও লজ্জার হার নাজমুল হোসেন শান্তদের। প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতেই বাজেভাবে হেরেছে তার। প্রথম ম্যাচে ৭ উইকেটে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ৮৬ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে সফরকারীরা।
বুধবার (৯ অক্টোবর) সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ভারতের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে টস জিতে শুরুতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২২১ রান সংগ্রহ করে ভারত। জবাবে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান তুলতে সক্ষম হয় টাইগাররা।
এদিন বোলিংয়ে নেমে শুরুতে ভারতকে ভালোভাবেই চেপে ধরতে সক্ষম হয়েছিল বাংলাদেশের বোলাররা। পাওয়ার প্লেতেই ভারতের ৩টি উইকেট তুলে নেন তাসকিন-মুস্তাফিজরা। কিন্তু টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে ফিরিয়েও স্বস্তি পায়নি বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন:
» দেশবাসীর কাছে দুঃখপ্রকাশ করে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করলেন সাকিব
» বিপিএল : বরিশাল থেকে খুলনায় মিরাজ, পাবেন অধিনায়কত্ব?
তিন উইকেট পতনের পর চতুর্থ উইকেটে ৪৯ বলে ১০৮ রানের বিধ্বংসী জুটি গড়েন নিতেশ কুমার রেড্ডি ও রিংকু সিং। এই জুটিতে ভর করেই বড় লক্ষ্যের দিকে এগোতে থাকে ভারত। নিতেশ ৩৪ বলে ৭৪ এবং রিংকু ২৯ বলে ৫৩ এবং হার্দিক পান্ডিয়া (৩২) ও রিয়ান পরাগের ক্যামিওতে (১৫) ২২২ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য দাঁড় করায় ভারত।
বাংলাদেশের খরুচে বোলারদের মাঝে দুর্দান্ত ছিলেন তাসকিন আহমেদ। চার ওভারে মাত্র ১৬ রান দিয়ে ২টি উইকেট শিকার করেন এই পেসার। মুস্তাফিজুর রহমান ৪ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ২টি উইকেট পেয়েছেন। তবে রিশাদ হোসেন ৩টি ও তানজিম সাকিব ২টি উইকেট নিলেও বেশ খরুচে ছিলেন তারা।
পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কিছুটা মারমুখী হয়েই খেলেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। দলীয় ২০ রানের মাথায় ফিরে যান এই ব্যাটার (১৬)। দলীয় ৪০ রানের মাথায় ফিরে যান অধিনায়ক শান্ত (১১)। এরপর আসা-যাওয়ার মধ্যেই থাকেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ অনেকক্ষণ মাঠে থাকলেও ধীরগতিতে রান তুলেছেন। আউট হওয়ার আগে ৩৯ বলে ৪১ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এটাই বাংলাদেশের ইনিংসে সর্বোচ্চ রান। এছাড়া অন্যান্য ব্যাটাররা আজও হতাশ করেছেন। লিটন দাস ১৪, তাওহীদ হৃদয় ২, জাকের আলী ১ রান করে ফিরে গেছেন।
ভারতের হয়ে নিতেশ কুমার রেড্ডি ও বরুণ চক্রবর্তী ২টি করে উইকেট শিকার করেছেন। এছাড়া পাঁচজন বোলার একটি করে উইকেট পেয়েছেন।
ক্রিফোস্পোর্টস/৯অক্টোবর২৪/বিটি