
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ব্যর্থতা ঘোচাতে ডেকে আনা হয়েছিল জিম্বাবুয়েকে। কিন্তু প্রথম ম্যাচেই হোঁটচ খেয়ে আরও চাপে পড়েছে নাজমুল হাসান শান্তরা। বাংলাদেশের ক্রিকেটে যেন চলছে চরম দুঃসময়। একের পর এক সিরিজ, টুর্নামেন্টে ব্যর্থতা। এখন জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে সিরিজ বাঁচানোই কষ্ট। ওই ম্যাচ ঘিরে টাইগার কোচ ফিল সিমন্স দিয়েছেন ধৈর্য ধরার পরামর্শ।
সিরিজের প্রথম টেস্টে সিলেটে হারের পর দর্শকরাও চরম হতাশ। জাতীয় দলের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স ক্রিকেটের ব্যাপারে বরাবরই আবেগপ্রবণ এই জাতিকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন। ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে আজ হাজির হয়েছিলেন সিমন্স।
সোমবার চট্টগ্রামে শুরু হবে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। সিরিজ হার এড়াতে এই টেস্টে জেতার বিকল্প নেই বাংলাদেশের। এই পরিস্থিতিতে দেশের ক্রিকেট সমর্থকদের প্রতি ধৈর্য ধরার অনুরোধ করে সিমন্স বলেছেন, আমি বাংলাদেশের মানুষের কাছে ধৈর্য আহ্বান করব। ক্রিকেটে তাদের প্যাশন অতুলনীয়। আমরা ঠিক প্রক্রিয়ায় গিয়ে দীর্ঘমেয়াদে উন্নতি নিশ্চিত করতে চেষ্টা করছি।
আরও পড়ুন
»হারানো গৌরব ফেরাচ্ছে জিম্বাবুয়ে, হেলাফেলার মাশুল দিচ্ছে বাংলাদেশ!
»আইপিএলের প্লে-অফ দৌড়ে এগিয়ে যারা
চট্টগ্রামে ইতিবাচক অ্যাপ্রোচে খেলার আশা দেখিয়ে সিমন্স বলেন, আমরা দল হিসেবে উপযুক্ত ব্যাট করতে পারিনি। প্রথম ইনিংসেই নিজেদের চপে ফেলেছি। আমাদের লক্ষ্য ইতিবাচক টেস্ট খেলা। এমন না যে ধীরে খেলে দিনে কেবল দুইশো রান করব।
সিলেট টেস্টের দুর্বলতা দেখিয়ে কড়া বার্তা দিয়ে টাইগার গুরু বলেছেন, ক্রিকেটারদের কাছে বার্তা হলো, আমরা কিছু সফট ডিসমিসালে আউট হয়েছি। আমাদের এসব জায়গায় উন্নতি করতে হবে। দুই-তিন ম্যাচ পর পর ভালো পারফরম্যান্স হলে সেটা আমরা ভালো বলতে পারব না। টেস্টে আমাদের ধারাবাহিক হতে হবে।
দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশ স্কোয়াড: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), মাহমুদুল হাসান জয়, সাদমান ইসলাম, এনামুল হক বিজয়, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, জাকের আলী অনিক, মেহেদী হাসান মিরাজ (সহ-অধিনায়ক), তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, তানভীর ইসলাম, হাসান মাহমুদ, সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও তানজিম হাসান সাকিব।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৭এপ্রিল২৫/এজে/এনজি
